Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কাঁচা বাজারে বন্যার প্রভাব


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২, ০১:২৫ পিএম
কাঁচা বাজারে বন্যার প্রভাব

ঢাকাঃ বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বিপর্যস্ত দেশ। তারই প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। দাম বেড়েছে সবজি এবং পেয়াজের।

শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে সবজির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে সরবরাহ কম থাকায় গত ৩-৪ ধরেই শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

শুক্রবার এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, করলা ৭০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৫০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৫০, বটবটির কেজি ‌৬০, ধুনধুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

এছাড়া এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে রসুনের দাম কমেছে। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার ২০৫ টাকা। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।

সবজি বিক্রেতা ইমন হোসেন বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরেই সবজির দাম বাড়ছে। উত্তরবঙ্গ ও সিলেট বিভাগে বন্যায় বহু ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। কৃষকের অনেক ফসলও নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বন্যায় যান চলাচলও কিছুটা ব্যাহত ছিল, যার কারণে সবজির দাম বাড়ছে লাফিয়ে। দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাজার করতে আসা জহিরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে আমরা হয়তো বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারব না। না খেয়েই মরতে হবে। মাছ-মাংস তো কিনতেই পারি না। একটু সবজি খাব, সেই সবজির দামও অনেক। সব কিছু আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে এমন কোনো জিনিস নেই যার দাম বাড়েনি। আর যেটার দাম একবার বাড়ে সেটা কমে না। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়লে বলেন, কিন্তু দাম কমলে আর বলেন না। সিন্ডিকেট করে তারা জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বাজারে গরুর মাংসর দাম, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা করে। এছাড়া খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে