Dr. Neem on Daraz
Victory Day

হারাতে বসেছে বাঁশ ও বেত শিল্প


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম
হারাতে বসেছে বাঁশ ও বেত শিল্প

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরঃ জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি।

বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র। তারপরেও ফুলবাড়ী উপজেলার গুটি কয়েক মানুষ ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেতের শিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এলুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বেত ঝাড়। তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর।

জানা যায়, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থালী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবনযাপন। তবে এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে। যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার! যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।

পৌরবাজারে বাঁশ-বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা খগেন্দ্র চন্দ্র রায় ও কুতুয়া মুর্মু বলেন, বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার বেতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা বদলে অন্যপেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা। তাদের তৈরি কিছু পণ্য পৌরবাজারসহ গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ঘোরাফেরা করলে কিছু সৌখিন মানুষরা তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তয়-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা।

আগামীনিউজ/এএইচ  

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে