যেভাবে ৫১ সন্তানের বাবা হলেন কাইলি গর্ডি

---

আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৮:৫৮ পিএম

ঢাকাঃ বীর্যদান করে বহু নিঃসন্তান নারীকে সন্তানসম্ভবা হতে সাহায্য করেছেন কাইলি গর্ডি। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বহু দেশে ছড়িয়ে রয়েছে তার সন্তানেরা। ব্রিটেনের ওই বহু আলোচিত বীর্যদাতা কাইলি গর্ডি এ প্রথম জানালেন, দানের প্রক্রিয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কেরও ভূমিকা থাকে। যারা বীর্য চান, প্রস্তাব আসে তাদের কাছ থেকেই। তবে প্রস্তাব এলে কাইলি না করেন না। সে ক্ষেত্রে দু’জনই নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে ওই রিপোর্ট দেখে স্বাভাবিক যৌনতায় অংশ নেন।

সন্তান উৎপাদনে ৪০ শতাংশ সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে কাইলির। ৫১ সন্তানের বাবা তিনি। ব্রিটেনের নাগরিক কাইলি একটি পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, যারা তার বীর্য ব্যবহার করে সন্তান ধারণ করেছেন, তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ সন্তান ধারণ করেছেন শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে।

কাইলি প্রথম বীর্যদান করেছিলেন তার বন্ধু এক সমকামী দম্পতির জন্য। তারপর থেকে সন্তান চাওয়া সমকামী দম্পতিদের মাঝেমধ্যেই সাহায্য করতেন তিনি। একবার এক নারী বীর্য চেয়ে যোগাযোগ করেন তার সঙ্গে। তিনি সন্তানসম্ভবা হলে কাইলির মনে হয়, তিনি তো এভাবে অনেককেই সাহায্য করতে পারেন। বিষয়টি চাউর হতেই পর পর প্রস্তাব আসতে থাকে তার কাছে। কাইলি জানিয়েছেন, এখন মাসে অন্তত চার থেকে পাঁচবার বীর্য দান করতে হয় তাকে। তবে পুরোটাই নির্ভর করে তার কাছে আসা প্রস্তাবের ওপর। ব্রিটেন তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নারীরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন কাইলি। অনেক ক্ষেত্রে তাকে ক্যুরিয়ারের সাহায্য নিতে হয়। তবে যারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান, তাদের সঙ্গে কথা বলে সাক্ষাতের কোনো জায়গা ঠিক করে নেন কাইলি। তবে এ পরিষেবা পুরোটাই তিনি দেন বিনামূল্যে।

কাইলি জানিয়েছেন, অর্থের বিনিময়ে তিনি যেমন পরিষেবা দেন না। তেমনই তার এ পরিষেবার কোনো সরকারি অনুমোদনও নেই। তবে এতে একদিক থেকে তার ভালই হয়েছে। অনুমোদিত বীর্যদাতাদের ১৬ বছর পর্যন্ত সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতি দেয় না সরকার। তার ক্ষেত্রে ওই নিষেধ নেই। ফলে ৫১ জন সন্তানের সঙ্গে ইচ্ছেমতো দেখা করতে পারেন তিনি। কাইলি জানিয়েছেন, তার সন্তানদের মায়েরাও তা পছন্দ করেন।

কাইলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কত দিন সন্তানকামী মায়েদের এমন পরিষেবা দিয়ে যেতে চান তিনি? জবাবে তিনি বলেছেন, যত দিন ইচ্ছুক মায়েরা তার পরিষেবা নিতে চাইবেন, তত দিন তিনি থামবেন না।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এসএস