পরিচিতিঃ (Botanical Name: Woodfordia fruticosa(L)Kurz, Common name: Dhaiphul, English Name: Fire flame Bush, Family: Lythraceae)
ধাইফুল একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ এবং শাখা বিস্তৃত। ছাল মশৃণ ও বাদামী রঙয়ের, পাতা ৫-৭ সে.মি. লম্বা, বর্শাফলাকৃতি, পাতার বোঁটা নেই বললেই চলে। গোড়ার দিকটা কিছুটা গোলাকার। পাতার উপর নীচ দু’দিকই সূক্ষ কোমল লোমাবৃত। একটি পুষ্পদন্ডে ছোট বোঁটায় উজ্জ্বল লাল বর্ণের গুচ্ছবদ্ধ ফুল হয়। ফলে সরিষার আকারের ধূসর বর্ণের অনেক বীজ থাকে। জানুয়ারী ফুল হয় ও জুলাই মাসে ফল পাকে।
প্রাপ্তিস্থানঃ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কদাচিৎ ধাইফুল পাওয়া যায় তবে ভারত এর আদি নিবাস এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
চাষাবাদঃ জুলাই মাসে ফল পাকলে বীজ ছড়িয়ে গাছ জন্মানো যায়।
লাগানো দুরত্বঃ ৫-৭ ফুট পর পর গাছ লাগাতে হয়।
উপযোগী মাটিঃ বেলে-দোআঁশ মাটি।
প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ ১০০-১৫০০ টি।
বীজ আহরণ ও সংগ্রহের সময়ঃ জুলাই মাসে ফল পাকে তখনই বীজ সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ গাছ থেকে ফল পৃথক করে শুকিয়ে নিয়ে চটের বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করা হয়।
ব্যবহার্য অংশঃ ফুল, পাতা ও ডাল।
উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ ধাইফুল রক্তদুষ্টি ও পিত্তজনিজ রোগে উপকারি এবং শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর ও শুক্রতারল্য নাশক। আমাশয়, রক্ত আমাশয় ও অতিসার নাশক এবং যকৃতদোষে উপকারি। বিষনাশক ও মাদকতা আনয়নকারক এবং ব্রণের দোষ নাশক। ধাইফুল চূর্ণ ক্ষতস্থানে ছিটিয়ে দিলে ক্ষতস্রাব কমিয়ে দ্রুত ক্ষত পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহার হয়ঃ
পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ ৪-৫ মাসে পরিপক্ক হয়।
অন্যান্য ব্যবহারঃ ধাইফুল গাছের ফুল, পাতা ও ডাল থেকে রঙ তৈরি করা যায়। এ গাছ থেকে এরকম আঠা পাওয়া যায় এবং কাপড়ের যে অংশে ছাপার সময় রঙ না লাগানোর প্রয়োজন হয় সেখানে এই আঠা লাগানো হয়।
আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বার্ষিক ৬০০০০ থেকে ৮০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
আগামীনিউজ/নাসির