Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ঝন্টু ঋষি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন দাবি


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০১:৪৯ এএম
ঝন্টু ঋষি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন দাবি

খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২ এলাকায় জুতার কাজ করা ঝন্টু ঋষি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন দাদিসহ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)। গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম মোঃ হুমায়ুন কবির(৩০)।

গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (উত্তর) এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জুনায়েদ আলম সরকার জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নিকুঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বেলা ৩ টায় মোঃ হুমায়ুন কবিরকে (৩০) গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম।

তিনি বলেন, ভিকটিম মৃত ঝন্টু ঋষি খিলক্ষেত থানার টানপাড়ার সরকার বাড়ীর বাসা নং- খ-৬৮/২ এ বসবাস করত এবং খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২ এর ১৪ নং রাস্তার পাশে জুতা সেলাইয়ের কাজ করত। মৃত ঝন্টু ঋষির বড় ভাই সুমন্ত ঋষি ৫ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করেন গত ৩০ জানুয়ারি  থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে  ১২ টার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা তার ভাইকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।

থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি উত্তর বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩ ফেব্রুয়ারি নিকুঞ্জ এলাকা থেকে মোঃ হুমায়ন কবিরকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তরের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম।

তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন জানায়, সে ঢাকা শহরে নিকুঞ্জ-২ এর পশ্চিম মাথায় গত ৩ বছর যাবত বসবাস করে। ঢাকা শহরে প্রথমে এসে সে নিকুঞ্জ কল্যান সমিতিতে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় নাইট গার্ডের চাকুরি করত। সে প্রায় ৫ মাস ঐ চাকুরি করার পর চাকুরি ছেড়ে রিকসা চালানো শুরু করে। সেই সময়ে ঝন্টু ঋষির সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রে ঘটনার মাস খানেক পূর্বে সে ঝন্টু ঋষির নিকট হতে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। ঘটনার ২/১ দিন পূর্বে ঝন্টু ঋষি পাওনা টাকা চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয় এবং সে আরো কয়েকদিন সময় চায়।

ঘটনার রাতে প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে ভিকটিম ঝন্টুর বাসায় গিয়ে তাকে ডাক দিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে ভিকটিম ঝন্টু ঋষির শোয়ার চৌকিতে বসে আবারোও ২/৪ দিন সময় দিতে বলে। ভিকটিম ঝন্টু, হুমায়ুন কবিরের কথায় কর্নপাত না করে তাকে চলে যেতে বলে এবং ঘুমিয়ে পড়ে। ভিকটিম ঝন্টু ঋষি ঘুমিয়ে পড়লে হুমায়ুন তার ঘর থেকে একটা দড়ি দিয়ে ঝন্টুর পা বেঁধে অপর একটি দড়ি দিয়ে গলায় প্যাচ দিয়ে তাকে হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে ঝন্টুর ঘর হতে একটি তালা নিয়ে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে বাসায় চলে যায়।

গ্রেফতারকৃত মোঃ হুমায়ুন কবিরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জসীম ঊদ্দীন দেওয়ান।


আগামীনিউজ/সুমন/নাঈম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে