Dr. Neem on Daraz
Victory Day

হামলার পরিকল্পনা ছিলো জঙ্গীদের


আগামী নিউজ | আগামী নিউজ প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৭:৩১ পিএম
হামলার পরিকল্পনা ছিলো জঙ্গীদের

ঢাকা: দেশের প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে আনসার আল ইসলামের মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য সাধনে কেউ বাধা দিলেই তাকে এ্যাটাক করে জঙ্গীরা। লোন উলফ এ্যাটাকের পরিকল্পনা করার জন্যই উত্তরায় একসাথে মিলিত হয় জঙ্গীরা। পরিকল্পনা করার আগেই আনসার আল ইসলামের এই ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

তিনি জানান, জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য লোন উলফ এ্যাটাক পরিকল্পনা করার জন্য উত্তরায় মিলিত হয়। চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে ফেলার আগেই উত্তরা থেকে চারজন এবং গাজীপুর ও সাতক্ষীরা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪। গত ১৫ নভেম্বর বিকাল তিনটা থেকে ১৬ নভেম্বর সকাল সাতটা পর্যন্ত দু’টি টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের দলের আরো বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নীলফামারীর শফিকুল ইসলাম ওরফে সাগর ওরফে সালমান মুক্তাদির (২১), পিরোজপুরের ইলিয়াস হাওলাদার ওরফে খাত্তাব (৩২), সাতক্ষীরার ইকরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা ও আমীর হোসাইন ওরফে তাওহীদি জনতার আর্তনাদ (২৬), শিপন মীর ওরফে আব্দুর রব (৩৩) এবং চাঁদপুরের ওয়ালিউল্লাহ ওরফে আব্দুর রহমান (২৫)।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ হতে আনসার আল ইসলাম এর বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী সম্পর্কিত বই, লিফলেটসহ উগ্রবাদী ডিজিটাল কনটেন্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে, তাদের মতে এই ব্যবস্থা তাগুতি বা বাতিল, তারা কথিত ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। কথিত ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা প্রতিহত বা বিরোধ সৃষ্টি করে তাদের চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা। দেশের প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করাই আনসার আল ইসলামের মূল উদ্দেশ্য। 
তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা কারীদের উপর তারা আকস্মিক আক্রমন করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে থাকে। তাদের আকস্মিক আক্রমনের পরিকল্পনাকে তারা তাদের সংগঠনের ভাষায় লোন উলফ এ্যাটাক বলে থাকে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের পরিবর্তে চাপাতি ব্যবহার করে। জঙ্গি তৎপরতা, প্রশিক্ষণ ও করনীয় সম্পর্কে তারা নিজেদের মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ করে। তবে কোন নাশকতার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষন, গোপনীয় তথ্য সরাবারহ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে কদাচিৎ অফলাইনে দেখা সাক্ষাৎ করে থাকে। সাম্প্রতি কোন লোন উলফ এ্যাটাকের পরিকল্পনা জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীরা উত্তরা এলাকায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। 

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক জানান, আটককৃতরা ২ থেকে ৫ বছর ধরে এই জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। মাদ্রাসা শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ ওরফে আব্দুর রহমান ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিল। আর সাতক্ষীরার ইকরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা খুলনা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিল।

আনসার আল ইসলামের সদস্যরা  ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে থাকে বলে জানান এডিশনাল ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, তারা প্রটেকটিভ অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে, যেগুলো সাধারণত ইন্টারফেস করা যায় না। তারা ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে চলে।

আগামী নিউজ/আরআর/এআর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে