Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২, ০২:৩১ পিএম
৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকাঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ১০ হাজার ১১০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে টিসিবির কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং প্রত্যেক কার্ডধারীকে মাসে দুইবার ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ সার্কিট হাউসে আগামী ১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং টিসিবির কার্ড ধারীদের মাঝে চাল ও আটা বিতরণ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলেন খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। আরো দু’দিন চাল সংগ্রহের সময় আছে। এ দু’দিনে আরো প্রায় ৫০ হাজার চাল সংগ্রহ হবে। এতে করে শতভাগ চাল সংগ্রহ হবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় সংগ্রহ কম হয়েছে। তবে ৫০ শতাংশ সংগ্রহ হবে বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন, আমাদের হিসাবে বাইরে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোক্তাদের কষ্ট না দিতে সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। আগে ৮১৩টি ওএমএস কেন্দ্র চালু ছিল এবং ১ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হতো। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সারাদেশে ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে।

এছাড়া ঢাকা মহানগরিতে ৫০টি ট্রাকে ৩০ টাকা কেজি দরে সাড়ে তিন মেট্রিক টন চাল বিক্রি হবে। টিসিবি কার্ডধারীদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং মাসে ৫ কেজি করে ২ বার চাল বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১০ হাজার ১১০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি হবে। খাদ্যবান্ধবদের জন্য স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ যাচাই-বাছাই কাজ প্রায় শেষ। এতে করে অবৈধভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।

ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বাজারে চাল কিনতে না গেলে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর আউশ ধান ভালো হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছে আমন ধানের চাল থেকে আউশের চাল অনেকটা ভালো। এ ধানে মরা দানা নাই।

এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবীর ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে