Dr. Neem on Daraz
Victory Day

তরুণীর সঙ্গে কথা বলায় ২ যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দিল ইউপি সদস্য


আগামী নিউজ | সারাবাংলা ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২, ১০:৩৭ এএম
তরুণীর সঙ্গে কথা বলায় ২ যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দিল ইউপি সদস্য

ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীঃ গলাচিপায় বিয়েবাড়িতে তরুণীর সঙ্গে কথা বলায় দুই যুবককে ন্যাড়া করে মাথায় আলকাতরা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য সায়েম গাজীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে গলচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে চর মহিউদ্দিন গ্রামের নোমর সুলিজ সংলগ্ন আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার এক যুবকের বাবা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে চরবাংলা গ্রামের অহিদুল মৃধার বিয়ে ছিল। বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে তার ছেলে চরবাংলা থেকে চর মহিউদ্দিন নোমর স্লুইচ সংলগ্ন আবাসনে নুরু সর্দারের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে দুপুরে খাওয়ার পর বাড়ির পশে স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে ছেলেরা দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এ সময় ওই মেয়ের ভাই কথা বলতে দেখে তার ছেলে ও আরেকজনকে মারধর করেন।

এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আবু সায়েম গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সালিশ বৈঠক বসিয়ে দুই যুবককে মারধর করেন। পরে নিজ হাতে খুর দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়ে দেন। অপমান সইতে না পেরে ওই দুই যুবক একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগী দুই যুবক বলেন, ‘ওই মেয়ে আমাদর পূব পরিচিত ছিল। তাই বিয়েবাড়িতে তার সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম। এটা দেখে মেয়ের বড় ভাইসহ আরও কয়েকজন আমাদের ধরে সায়েম গাজীর কাছে নিয়ে যায়। তারা আমাদের মারধর করে মাথার চুল কামিয়ে আলকাতরা লাগিয়ে গ্রামছাড়া করে। আমরা লোকলজ্জার ভয়ে এখন পালিয়ে থাকি। আমরা সমাজে কিভাবে বাঁচব? আমাদের ভবিষ্যৎ কী?’

তারা বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধ করিনি। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবো।’

মেয়ের ভাই বলেন, ওরা মোবাইলে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করত। বিয়েবাড়িতে তাদের পেয়ে আমরা মেম্বারের কাছে নিয়ে গেলে সালিসের মাধ্যমে সেলুন থেকে মেশিন দিয়ে তাদের ন্যাড়া করে সতর্ক করা হয়েছে। তবে আলকাতরা কে বা কারা লাগিয়েছে আমার জানা নেই ।

চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৮নং ও ওয়ার্ড চর বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাসান সর্দার বলেন, ‘পোলাপান অপরাধ করলে তার বিচার করার সুযোগ আছে। অভিবাবকদের ডেকে কথা বলা যেত, কিন্তু এই আধুনিক সমাজে এভাবে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা দেওয়ার ঘটনা অমানবিক। আমরা এ ঘটনায় বিচার চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু সায়েম পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো সালিশ বৈঠক হয়নি এবং আমি কারো মাথা ন্যাড়া করিনি। আর যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে তার ভিডিও ফুটেজ কোথায়?’

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে