Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কবর থেকে লাশ তুলে সঙ্গে নিয়ে ঘুমালেন কিশোর


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ১১:৩৭ পিএম
কবর থেকে লাশ তুলে সঙ্গে নিয়ে ঘুমালেন কিশোর

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক শিশুর মরদেহ দাফনের পর রাতেই কবর থেকে উধাও হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিন বছরের সেই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায় এক কিশোর আত্মীয়ের ঘরে। 

সে স্বীকার করে, কবর খুঁড়ে মরদেহ তুলে এনে জামা–কাপড় পরিয়ে একসঙ্গে রাতে ঘুমিয়েছে সে। স্বজনেরা বলছেন, এই কিশোর মানসিক ভারসাম্যহীন।

উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বড় কাচনা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পশ্চিম বড় কাচনা এলাকার শফিক মাতবরের ছেলে নাইম (৩) পানিতে ডুবে মারা যায়। 

সন্ধ্যায় জানাজা নামাজ শেষে পশ্চিম বড় কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পারিবারিক গোরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয়। কিন্তু সকালে দেখা যায়, কবরের মাটি সরানো। শিশুর মরদেহও নেই!

অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির এক আত্মীয় মোকলেছ ফকিরের কিশোর ছেলের খালি ঘরে পাওয়া যায় মরদেহ। পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে মোকলেছ ফকিরের ছোট ছেলে রাজন ফকির (১৫) কবর থেকে শিশুর মরদেহ তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। কিশোরটি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

শিশুটির দাদা সাইদুল মাতবর বলেন, ‘আমার নাতি নাইম পানিতে পড়ে মারা যায়। তাকে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়। আজ সকালে দেখা যায় কবরে তার লাশ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি, আমার ভাইগ্না রাজন ফকির রাতে কবর থেকে লাশ তুলে নিয়ে গেছে। কাফনের কাপড় ফেলে দিয়ে সে লাশকে জামাকাপড় পরিয়ে খাটে শুইয়ে রাখে। তার পাশে শুয়ে রাত্রিযাপন করে রাজন।’

সাইদুল মাতবর আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রাজন জানায়, শিশুটি কবরে একা একা কীভাবে থাকবে! তাই সে কবর থেকে তুলে নিয়ে আসছে। আবার বলে, দাফনের সময় সবাই নাইমকে দেখেছে কিন্তু সে দেখতে পারেনি বলে তুলে নিয়ে আসছে। পরে লাশ পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

প্রতিবেশী তোফায়েল মাস্টার জানান, কবরে মরদেহ না থাকার বিষয় সকালে জানাজানি হলে খোঁজখবর শুরু হয়। কিশোর রাজন ফকিরের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, সে মরদেহ তুলে নিয়ে গেছে। পরে তার এক ভাইয়ের ঘরে গিয়ে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ভাই ঢাকায় থাকে। ঘরটি খালিই পড়ে থাকে। দেখা গেছে, খাটের ওপর রেফ্রিজারেটরের কার্টন বিছিয়ে শিশুটিকে ট্রাউজার ও শার্ট পরিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে। বলছে, রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল তারা।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে