Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ববির আবাসিক হলে অতিরিক্ত ফি, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা


আগামী নিউজ | বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ববি প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম
ববির আবাসিক হলে অতিরিক্ত ফি, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

বরিশালঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শেরে বাংলা হলে এককালীন অতিরিক্ত হল ফি ধার্য করায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। নতুন আসন বরাদ্দকৃতদের হলে প্রথমে আবাসিক হওয়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে গুনতে হচ্ছে ছয় হাজারের বেশি টাকা৷ ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি সামনে রেখে এককালীন এত টাকা হল ফি এখন শিক্ষার্থীদের গলার কাটা।

গত ১৯ মার্চ (রবিবার) আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এক নোটিশে বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ মার্চ থেকে ২৮ মার্চের মধ্য হলফি পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। সেখানে হল সিট ভাড়া দ্বৈতবাসিক ১৫ মাসের জন্য ২২৫০ টাকা, হল সংস্থাপন ফি ১০০০ টাকা, হল জামানত ফি ফেরতযোগ্য এককালীন ১০০০ টাকাসহ অন্যান্য ফি বাবদ মোট ৬০৯৬ টাকা। 

এর আগে  শেরে বাংলা হলে এবছরের ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখে নতুন আসনে বরাদ্দকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য ১ বছরের হলফি ধার্য করা হয় ৪৯৩০ টাকা। পাশাপাশি অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হলে প্রথমে একজন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হওয়ার জন্য ছয় মাসে পরিশোধ করতে হয় ৩৩৯০ টাকা৷ কিন্তু এবার একসাথে ১৫ মাসের ফি একসাথে ধার্য করায় ক্ষুব্ধ আসন পাওয়া শিক্ষার্থীরা৷

সিট পাওয়া রসায়ন বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন বলেন, হলে সিট দেওয়া হয় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের। একজন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর পক্ষে কীভাবে এতটাকা দেওয়া সম্ভব? হলের আবেদনপত্র দেওয়ার সময় ঘোষণা দিতে পারত যারা ৬ হাজার টাকা দিতে পারবে তারা আবেদন করবে বাকিদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। এক সপ্তাহ আগে ফর্মফিলাপ করেছি ২০০০ টাকায় এখন ২৮ তারিখের মাঝে কীভাবে এতটাকা দিব?

নতুন সিট পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী কমল (ছদ্মনাম) বলেন, শেরেবাংলা হলে উঠতে ৬০৯৬ টাকা দেওয়া লাগছে৷ যা রীতিমতো একজন ছাত্রের কাছে বোঝাস্বরূপ। বর্তমানে প্রত্যেক ছাত্রদের জন্য এতটাকা জমা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ বাইরে থাকতে গেলেও একসাথে এত টাকা দেওয়া লাগতো না। এই দিকগুলো বিবেচনা করে হল কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার বলে আমি মনে করি।

অতিরিক্ত হলফি সম্পর্কে জানতে চাইলে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, সাধারণত আমরা এক বছরের টাকা নেয় কিন্তু এখন যেহেতু মার্চ মাস, আর আমরা হিসাব করি জুন মাস থেকে, তাই আগামী জুন (১৫) মাস পর্যন্ত সমতা বজায় রাখার জন্য ও হিসাব রাখার সুবিধার্থে এই ৩ মাসের টাকা একসাথে নেওয়া হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর একসাথে হল ফি দিতে সমস্যা হলে হল প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করলে সেক্ষেত্রে বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। 

মাসুম মাহমুদ/বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে