Dr. Neem on Daraz
Victory Day

প্রেমের অপরাধে তরুণ-তরুণীকে মেরে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিল পরিবার!


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
প্রেমের অপরাধে তরুণ-তরুণীকে মেরে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিল পরিবার!

ঢাকাঃ ভালোবাসার অপরাধে খুন। মেয়েটির বয়স ১৮ আর ছেলেটির ২১। নির্মমভাবে খুনের শিকার হলেন এই দুই তরুণ-তরুণী। মেয়েটির পরিবারের লোকজন শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাদের দুজনের মরদেহের সঙ্গে পাথর বেধে এমন একটি নদীতে ফেলা হয়েছে যে নদীটি রীতিমত কুমিরের অভয়ারণ্য। ওই নদীতে শত শত কুমিরের বসবাস। নির্মম এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্মান বাঁচাতে পরিবারের লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজ্যের রতনবাসাই গ্রামে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা শিবানী তমার। পাশের গ্রামের রাধেশিয়াম তমারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শিবানীর। এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি শিবানীর পরিবার। এ নিয়ে তাদের বেশ ক্ষোভ ছিল। সেই সূত্র ধরেই শিবানী ও তার প্রেমিক খুনের শিকার হয়েছেন।

তারা দুজন নিখোঁজ হওয়ার পর রাধেশিয়ামের বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, অনেকদিন ধরেই তার ছেলে এবং পুত্রবধূ নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, তাদের হয়তো হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছিল, তারা হয়তো গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় যে, গ্রামের কেউ তাদের চলে যেতে দেখেননি।

পরবর্তীতে শিবানীর বাবা এবং অন্যান্য স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপরেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে, শিবানী এবং তার প্রেমিককে হত্যা করা হয়েছে।

শিবানীর পরিবার জানায়, গত ৩ জুন তাদের দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের মরদেহের সঙ্গে পাথর বেধে চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ওই নদীতে প্রচুর কুমির রয়েছে। তারা হয়তো ভেবেছিলেন, ওই দুজনের মরদেহ কুমির খেয়ে ফেললে আর কোনও প্রমাণ থাকবে না।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিহত নারীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসবাদ করি। তারা নিজের মুখেই এই অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে, হত্যার পর দুজনের মরদেহ চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। চম্বল ঘড়িয়াল অভয়ারণ্যে দুই হাজারের বেশি ঘড়িয়াল এবং পাঁচ শতাধিক মিঠা পানির কুমিরের বসবাস।

এনডিটিভি বলছে, চম্বল নদীটি ঘড়িয়াল ও কুমিরের অভয়ারণ্য। এই নদীতে ২ হাজারেরও বেশি ঘড়িয়াল (অ্যালিগেটর) এবং ৫০০টি মিঠা পানির কুমির রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়ে ওই প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই যুগলের দেহাবশেষ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে