Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০১:৪৯ পিএম
ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে বাঙ্কার বাস্টার বোমা সরবরাহ করেছে। ছবি: গেটি ইমেজেস, মার্কিন বিমান বাহিনী

ঢাকাঃ ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা পাঠিয়েছে মার্কিন সরকার।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে বাঙ্কার বাস্টার বোমা সরবরাহ করেছে।’ কারণ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।

অপরদিকে হামাসের সঙ্গে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় তার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে আমেরিকা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রায় ১৫ হাজার বোমা ও ৫৭ হাজার কামানের গোলা দিয়েছে তারা।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরে হামাসের অভিযানের পর থেকেই ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক দিনগুলোতেও তারা সেখানে গোলাবারুদ পাঠাচ্ছে।

মার্কিন সরকার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ১০০টি বিএলইউ-১০৯ বাঙ্কার বাস্টার যুদ্ধাস্ত্র পাঠিয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় দুই হাজার পাউন্ড।

৭ অক্টোবরে হামাসের অভিযানের পর ইসরায়েল তার হামলা শুরু করে। এর কিছু দিন পরে অস্ত্র হস্তান্তরের তত্ত্বাবধানে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কারণ, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলার জন্য বাইডেন প্রশাসন বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ দিচ্ছে। ওই মার্কিন কর্মকর্তা এ ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনাও করেছেন।

এদিকে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা হুগো বাচেগা জানান, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

অস্ত্রবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সাইরেন বাজার আওয়াজ শোনা যায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করে যে তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেটকে প্রতিহত করেছে।

হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বেশ কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় থাকা শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এরপরও আরও ১৪০ জন জিম্মি আটক রয়েছে।

ওই এলাকায় আবারও যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে মানবিক সংকট আরও বেশি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ওই এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, মিডল ইস্ট আই


এমআইসি/

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে