-20220129094922.jpg)
ঢাকাঃ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে টিকাদান শুরুর পর এক বছরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এসময়ে দৈনিক গড়ে পাঁচ হাজার মানুষ ঢামেকে টিকা নিয়েছেন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় এক মতবিনিয়ম সভায় ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢামেক পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ অতিমারিতে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঢামেক হাসপাতাল অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ করোনাকালীন আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা জীবন বাজি রেখে রোগীদের সেবা দিয়েছেন। সেবা দিতে গিয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
চিকিৎসা সেবার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ঢামেক পরিচালক আরও বলেন, ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জরুরি বিভাগে ২ লাখ ১৯ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। বহির্বিভাগে ৭ লাখের অধিক রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৬ হাজারের বেশি রোগীকে ভর্তি করানো হয়। মেজর অপারেশন করা হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার , মাইনর অপারেশন, ২৭ হাজারের অধিক, কোভিড রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল ১ হাজার ২০০ জনের বেশি। এছাড়া এইচডিইউতে ছিলেন প্রায় ১ হাজার রোগী, সিটি স্ক্যান করা হয়েছে ৩৭ হাজারের বেশি, ইসিজি ২৪ হাজারের বেশি, এমআরআই করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার। বাইসার্জারি করা হয়েছে ২০ জনকে। প্যাথলজি টেস্ট করা হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ।
মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢামেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. টিটো মিয়া, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. দেভেষ চন্দ্র তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম, মেডিসিন স্টোরের এসএলপিপি ডা. মশিউর রহমান, বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার শিকদার ও আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মো. শাহ আলমসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আগামীনিউজ/বুরহান
-20240222132835.jpg "বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে নতুন ১০ নির্দেশনা"){kind=tracking}
