Dr. Neem on Daraz
Victory Day

লিচুতে লাল ঝিনাইদহের চাষিদের স্বপ্ন


আগামী নিউজ | বিশেষ প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২, ০৯:২৭ এএম
লিচুতে লাল ঝিনাইদহের চাষিদের স্বপ্ন

ঝিনাইদহঃ চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। গাছে গাছে নানা রকম ফলের সমাহার। ঝিনাইদহে হাট বাজারগুলোতে রসালো ফল লিচু আসতে শুরু করেছে। এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা ছিল চাষিদের। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিরিক্ত খরাসহ কয়েকদফা কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়েছে। তবে লিচুর বাজার চাহিদা এবং দামে খুশি বাগান মালিকরা।

তারা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচুর ব্যাপক মুকুল এবং প্রচুর ফল ঝরে পড়েছে। প্রতি বছরই এখানকার চাষিরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকেন। এবছর যে বাগানে ফল রয়েছে তারা লাভবান হচ্ছন। বর্তমান আঁকার বুঝে শ’-প্রতি লিচু আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ টাকা হিসাবে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি অফিস ও চাষিরা জানান, জেলায় বেদানা, মোজাফ্ফর, চায়না থ্রি, কদম, এলাচি এবং পাতি জাতের লিচুর আবাদ হয়ে থাকে। এছাড়াও বাসাবাড়ির আঙিনায় গাছের লিচুতে অনেকটা পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে থাকে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীরা লিচু গাছে রেখেই কিনে বাগান পরিচর্যা করেন। সময় হলে গাছ থেকে লিচু পেড়ে বিক্রি করেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের বাগান মালিক পিন্টু মিয়া বলেন, তার ৪০ শতাংশ জমিতে ২১টি লিচু গাছ রয়েছে। এবছর কিছু লিচু ঝড় ও খরায় পড়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করেছেন। 

মোট লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা গ্রামের বাগান মালিক মুকুল মিয়া জানান, তার চার বিঘা জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। নানান রকমের প্রতিকূলতার মধ্যেও বাগানের গাছে যথেষ্ট লিচু রয়েছে। এরই মধ্যে বিক্রি শুরু করেছেন। বাজারে বিক্রির চাহিদা ও দাম ভালো। তাই ভালো লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করছেন।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহায়মেন আখতার বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে।

জেলা শহরের লিচু ব্যবসায়ী সদর উপজেলার শংকরপুরের ইব্রাহীম খলিল বলেন, বাগান কিনে লিচু বিক্রি করে লাভ করা ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অতিরিক্ত রোদ খরার ঝরে পড়ে যাবে। এছাড়াও যত্ন, পাহারার ঝামেলা তো আছেই। এবছর বাগান কিনে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে পড়েছেন। আবার যাদের লাভ হচ্ছে, তা অনেক বেশি। যা কল্পনা করতে পারেনি তারা। 

তিনি জানান, বাগান কিনে ব্যবসায় লোকসান হওয়ার কারণে গত কয়েক বছর ধরে আর বাগান চুক্তি কেনেন না। এ বছর বাগান মালিকদের কাছ থেকে পিস চুক্তিতে লিচু কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এবছর চাহিদার পাশাপাশি দাম ভালো বলেও জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, ঝিনাইদহে ৩২০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। ৩ হাজার ১২৩ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। লিচু বাগানের আবাদ করে অনেক চাষিদের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় অন্যদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই মৌসুমে ফলের বাজার চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। প্রাকৃতিকভাবে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হলেও ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে