Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কোন দূর্যোগেই মানুষ আর ত্রাণ চায় না : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৫:১০ পিএম
কোন দূর্যোগেই মানুষ আর ত্রাণ চায় না : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ছবিঃ আগামী নিউজ

কুড়িগ্রামঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে। সেকারণে কোন দূর্যোগেই মানুষ আর ত্রাণ চায় না। এখন শুধু বাঁধ চায়। আজও ঘড়িয়ালডাঙ্গা, ছিনাই বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দারা কেউ আর ত্রাণ চান না বাঁধ চান।’

শুক্রবার(২২অক্টোবর) দুপুরে  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম ও বগুড়াপাড়া সহ বন্যাকবলিত বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করে সরিষাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় এসব কথা বলেন।

 তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানুষের দুঃখ দেখে অত্যন্ত ব্যথা পান, তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ আমি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। জনগণের কাছ থেকে  চাহিদা  নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। সকল দূর্যোগ মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়ন শীল রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। কিন্তু বিস্তৃর্ণ এলাকা আজ তিস্তা নদী গর্ভে।

তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় নদী ব্যবস্থা, নদী শাসন, ড্রেজিং, নদীর নাব্যতা ঠিক রাখার জন্য তিনটা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্লান করেছে।  নদীর নাব্যতা গভীরতা বাড়িয়ে দুইকূলে টেকসই বাঁধ দিয়ে নদী ব্যবস্থার জন্য ডিজাইন  হয়েছে,  প্লান হয়েছে, বাজেট হয়েছে, শুধু কাজ শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে। 

কুড়িগ্রাম বাসীর জন্য আর একটি সুখবর বলে বলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অথোরিটি( জাইকা) নদী শাসনের জন্য একটা প্রকল্প নিয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বৃহৎ তিস্তা প্রকল্প(মেগা) নামে একটি প্রকল্প নিয়েছেন। এখানে নদী শাসন নদী  উপকূলে নগর বন্দর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই ৩টা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো কুড়িগ্রাম জেলাটাই রাজধানীর চেয়ে কোন অংশে কম থাকবে না।

বরাদ্দ কেটে নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল তা কেটে নেয়া হয়েছে। আমি মাননীয় পানিসম্পদ মন্ত্রীকে ওই টাকা দিয়ে এখানে কাজে লাগানোর জন্য বলবো। 

এদিকে ঘড়িয়াডাঙ্গা বিদ্যানন্দ হয়ে চিলমারী পর্যন্ত যে বাঁধের প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা আমি আন্তঃ মন্ত্রনালয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভায় তুলে ধরবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোঃ মোহসীন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ জাফর আলী, রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনিম, কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং  আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, পাহাড়ী ঢে বুধবার(২০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কাউনিয়া পয়েন্টে আকস্মিকভাবে পানি বাড়তে শুরু করে। বিকেল গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রবল বেগে পানি উপজেলার চর খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম, চর বিদ্যানন্দ, চর রাম হরি, চর তৈয়বখাঁ গ্রামে প্রবেশ করে। এতে ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় তিস্তার চরের আনুমানিক ৫'শ হেক্টর জায়গাজুড়ে আলু, বাদাম সহ ধান ক্ষেত। আকস্মিক বন্যায় মাঝ রাতে ডুবে যায় এসব এলাকার প্রায় চার শতাধিক পুকুর।

আগামীনিউজ/শরিফ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে