Dr. Neem on Daraz
Victory Day

দেবীগঞ্জে বিলুপ্তির পথে কাশবন


আগামী নিউজ | শেখ ফরিদ, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৭:৫৪ পিএম
দেবীগঞ্জে বিলুপ্তির পথে কাশবন

ছবি: আগামী নিউজ

পঞ্চগড়: দেবীগঞ্জ উপজেলায় বিলুপ্তির পথে কাশবন। আগের মত দেখা যায় না কাশবন। কাশফুল শোভন শুভ্র ফুল। প্রকৃতিতে কাশফুলের আনাগোনা দেখলেই প্রাণবন্ত ঋতু শরৎকালের রবি উদয় ঘটে প্রাণে। শরৎ ও কাশফুল যেন একই সুতার মালা। শরতের শ্রেত কাশফুলের সাথে সাদা মেঘের মিতালি দেখা যায় পুরো শরৎকাল জুড়েই। বিস্তীর্ণ নীল আকাশে শ্রেত মেঘের ভেলা আর কাশফুলের সমারোহ শরৎ প্রকৃতির এক নান্দনিক রূপ।

গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অপরুপ শোভা ও সৌন্দর্য্যরে অধিকারী কাশবন এখন আর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে কাশফুল। যুগ যুগ পেড়িয়ে গেলেও গ্রাম বাংলার নদ-নদীর ধার, ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, পুকুর, খাল-বিল, ঈদ গাঁহ মাঠ ও ফাঁকা জায়গায় পথচারীদের দৃষ্টি কাড়তে কাশফুলের হালকা বাতাস যেন দোলা দেয় সবার হৃদয়কে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেত কাশফুলের সৌন্দর্য্যে। ধবল কাশফুল শোভন সুন্দর বলে সবুজ প্রাণ আর মেঘের আকাশ মিলে মূর্ত প্রকৃতি নয়নাভিরাম হয়ে ওঠে।

কাশফুল আবহমান বাংলার চিরচেনা শরতের সুন্দর স্নিগ্ধ ফুল।কবি জীবনন্দ দাশ শরৎকে দেখেছেন, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রুপ খুঁজিতে যাই না আর’। শরতের এই অপরূপ রুপ দেখে মুগ্ধ কবি অবলীলায় পৃথিবীকে আর দেখার প্রয়োজন নেই সিদ্ধান্ত নেন। শরৎ শুভ্রতার ঋতু। শরৎ মানেই প্রকৃতিতে শরৎ মানেই নদীর তীরে তীরে কাঁশফুলের সাদা হাসি।নদীর দু’ধারে, আইলে শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যায় না। কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন।

এখন দেবীগঞ্জে গ্রাম-গঞ্জে বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশফুল চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সেখানে এখন তৈরি হয়েছে মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা গ্রামগুলো এভাবেই শরতের সৌন্দর্যকে শুইয়ে দিচ্ছে সাদা কাফনের ভেতরে। সাধারণ মানুষের বিনোদন-প্রকৃতিতে দেখার শখ-আহ্লাদ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। কাশবনের ব্যবহার বহুবিধ। চারাগাছ একটু বড় হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাটা, ডালি  তৈরি করে আর কৃষকরা ঘরের ছাউনি হিসেবেও ব্যবহার করে থাকেন।

দেবীগঞ্জ করতোয়া ব্রিজের পশ্চিম দক্ষিণ দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে নদীর চরে দেখা মিলল সাদা কাশফুল। এ যেন নতুন কিছু তাই সকাল বিকেল কাশফুলের সাথে মিতালী করতে যাচ্ছে অনেক মানুষ। সেলফি তুলতে দেখা যায় অনেক কে।

দেবীগঞ্জ বাজার পাড়ার আল মুকতাদির নামের একজন বলে, এখন কাশফুল আগের মত দেখা যায় না তাই সেলফি তুলার জন্য ৪ কিলিমিটার দূরে মোটরসাইকেল নিয়ে আসি মনের প্রশান্তি মেটানোর জন্য।

দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র নিয়াজ বলেন,আমি গল্প শুনছি দেবীগঞ্জের চার দিকে শুধু কাশফুল আর কাশফুল ছিল এখন আর চোখে পরে না তাই ৪ কিলোমিটার দূরে নদীর চরে আসছি সেলফি তুলার জন্য। দেবীগঞ্জ ময়নামতির চর এর পশ্চিম পারে এই কাশফুল দেখা যায়। নদীতে পানি থাকায় অনেক ঘুরে যেতে হয় এই কাশবনে।

ঝাড় বাড়ি এলাকার জাকির হোসেন বলেন, বিকেল বেলা কাশফুল দেখার জন্য আমি আর আমার সহধর্মিণী আসছি। কাশফুল দেখতেউ অনেক ভাল লাগে তাই সৃতি করে রাখতে মোবাইল দিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেই।আমার ফেসবুকে  কাশফুলের  ছবি দেখে কমেন্ট করে  অনেকেই আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে