Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কুমিল্লার কচু ও কচুর লতি রপ্তানি হচ্ছে ২৫ দেশে


আগামী নিউজ | গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম
কুমিল্লার কচু ও কচুর লতি রপ্তানি হচ্ছে ২৫ দেশে

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লাঃ জেলার বরুড়া উপজেলা থেকে কচু আর কচুর লতি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে। দিন দিন বিদেশে কদর বেড়েই চলেছে এই কচু আর লতির। স্থানীয় কৃষি বিভাগও কচুর উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে। রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইতিমধ্যে বিদেশে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে  বরুড়ার কচু ও লতি। তবে স্থানীয় পর্যায়ে থেকে সরাসরি রপ্তানি না হওয়াতে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা।

মধ্যসত্বভোগীদের পরিবর্তে স্থানীয় কৃষকদের থেকে সরাসরি কচুর লতি সংগ্রহ করলে কৃষকদের লাভ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। বরুড়ায় উৎপাদিত পানি কচু ও লতি বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে, দুবাই, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের প্রায় সব দেশেই যাচ্ছে এই লতি ও কচু। আগে এই লতি ও কচু প্রবাসীদের মাধ্যমে গেলেও  বর্তমানে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ব্যাপকহারে রপ্তানি হচ্ছে।
 
চিটাগং ফ্রেশ ফ্রুটস এন্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে এ সবজি দু’টি। তবে রপ্তানিকারকরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এসব কিনছেন না। আগে কৃষকরা স্থানীয় কয়েকটি বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন কচু ও লতি নিয়ে যেতেন। এরপর ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে এগুলো কিনে নিয়ে যেতেন। তবে এখন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের খুব একটা বাজারে যেতে হয় না। স্থানীয় ক্ষুদ্র পাইকাররা প্রতিদিনই কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কচু ও লতি সংগ্রহ করছেন। বাড়িতে নারীরা এসব লতি ও কচু পরিস্কার করে আটি বাঁধেন। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষকদের বাইরে এ কাজে প্রায় দেড় হাজার নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
 
চিটাগাং ফ্রেশ ফ্রুটস এন্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি বলেন, বিদেশিদের পছন্দ সবুজ লতি ও কচু। এজন্য বরুড়ার এই দু’টি পণ্যই এখন বিখ্যাত। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় বরুড়ার কচু ও লতি সুস্বাদু। আমরা পানি কচু আর লতি রপ্তানি করছি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে যাচ্ছে দুবাই। আর ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ ২৫টির বেশি দেশে। রপ্তানিতে আমাদের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে সড়কে চাঁদাবাজি। বরুড়া থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম পণ্য আনতে পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। এতে ক্রেতা পর্যায়ে দাম অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা নেই।
আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে