ছবিঃ আগামী নিউজ
বগুড়াঃ বর্ষা মানে পথ, ঘাট, মাঠ জলে টুইটুম্বর । বিগত কয়েকদিনের বর্ষায় চারেদিকে জমে থাকা জলে ছড়িয়ে পড়েছে দেশি মাছ। ছড়িয়ে পড়া ওই দেশি মাছ শিকার করতে দিনে রাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেকে। দেশি মাছ শিকারের চাহিদা কে লক্ষ্য রেখে হাটে বাজারে উঠতে শুরু করেছে মাছ ধরার বিভিন্ন রকমের ফাঁদ।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপসুলতানগঞ্জ, চৌমূহনী, আলতাফনগর, সারপুকুর,তালুচ, জিয়ানগরসহ বিভিন্ন হাটে দেখা মিলছে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার ফাঁদ। ফাঁদগুলোর মধ্য রয়েছে খৈলশুন, পলই, ভাঁড়, ধোরকা ।
উপজেলার সাহারপুকুর হাটে ফাঁদ বিক্রি করতে আসা হারুন আগামী নিউজ কে জানায়, এখন মাছ শিকারের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকায় এসব সরঞ্জামের চাহিদা বেশি। খৈলশুন ২০০ টাকা, ছোট পলই ১০০ টাকা, ধোরকা ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই হাটে ফাঁদ কিনতে আসা সেকেন্দার আলী আগামী নিউজকে বলেন, এখন মাগুড়, শিং, টেংরা, টাকীসহ বিভিন্ন দেশি মাছ শিকার করা যাচ্ছে। একটু পরিশ্রম করে দেশি মাছ শিকার করলে তা বিক্রি করে ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তাই এ মৌসুমে মাছ ধরতে অনেকে আগ্রহী হয়েছে। তাই মাছ ধরার সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শিকারীরা।
আদমদীঘি তাছের উদ্দিন কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামশুজ্জামান ছালাম আগামী নিউজকে বলেন, দেশি মাছ আর আগের মত নাই । দেশি মাছের বংশ বিস্তারের এমন সময়ে এভাবে মাছ শিকার করলে দেশি মাছ কমে যাওয়ার পথ আরও ত্বরান্বিত হবে। মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে দেশি মাছ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের এগিয়ে আসা উচিত।