Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সুন্দরবনে রাসমেলা ৬ থেকে ৮ নভেম্বর, পাঁচটি রুট নির্ধারণ


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ০৬:১০ পিএম
সুন্দরবনে রাসমেলা ৬ থেকে ৮ নভেম্বর, পাঁচটি রুট নির্ধারণ

সাতক্ষীরাঃ প্রতি বছরের ন্যয় এবারও সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর তিনদিনব্যাপী রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহি এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শণার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগ পাঁচটি রুট নির্ধারণ করেছে। 

এসব পথ বনবিভাগ, পুলিশ বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শণার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ সময় সুন্দরবন যাতে হরিণ শিকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত না হয় সেজন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

অনুমোদিত পাঁচটি রুট হলো, (১) বুড়িগোয়ালিনি, কোবাদক স্টেশন থেকে বাটুলা নদী- বল নদী হয়ে- পাটকোষ্টা খালের মধ্য দিয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর।(২) কয়রা, কাশিয়াবাদ, পাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়পাঙাশিয়া, শিবসা, অতঃপর শিবসা নদী- মরজাত হয়ে দুবলার চর। (৩) নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা- মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। (৪) ঢাংমারি অথবা চাঁদপাই স্টেশন- তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর। (৫) বগী- বলেশ্বর-সুপতি- কচিখালি- শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগীয় বনকর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাস পূর্ণিমা ও পূণ্য স্নান উপলক্ষে ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মালম্বী দর্শণার্থী ও তীর্থযাত্রীদের অনুমতি প্রদান করা হবে।  কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। মাস্কবিহীন কোনো পূণ্যার্থী পূণ্যস্নানস্থলে যেতে পারবে না। মেলাস্থলে প্রবেশের সময় প্রতিনিটি এন্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান, লোকের সংখ্যা অনুযায়ি বিধি মোতাবেক রাজস্ব আদায় পূর্বক পাশ দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকাপিসহ তীর্থযাত্রীদের আবেদন করতে হবে।

প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ বা রুট উল্লেখ করে দেওয়া হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত রুটগুলোর মধ্যে পছন্দমত একটি মাত্র পথ ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। ৬ নভেম্বর দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং নৌকাগুলো কেবল দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবে। বনভিাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নং লিখতে হবে।

সুন্দরবনের ভেতরে অবস্থানের সময় টোকেন ও টিকিট নিজের কাছে রাখতে হবে। প্রতিটি ট্রলার, লঞ্চ ও নৌকাকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে রিপোর্ট করতে হবে। রাসপূর্ণিমায় পূণ্যস্নানের সময় কোন বিষ্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক দ্রব্য, হরিণে মারার ফাঁদ, দড়ি , গাছ কাটা কুড়াল, করাত ইত্যাদি অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্রলারে কোনো প্লাস্টিকের খাবারের প্লেট বহন করা যাবে না। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পূণ্যস্নানস্থানে মাইক বাজানো, পটকা বাজি ফোটানোসহ কোন প্রকার শব্দ দুষণ করা যাবে না। রাস পূর্ণিমায় আগত পূণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নেওয়া নাগরিক সনদপত্রের মূল কপি সঙ্গে রাখতে হবে।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন জানান, রাসমেলায় সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে দু’এক দিনের মধ্যে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জোরদার।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে