Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সৈয়দপুর টু ডোমার সড়ক নির্মাণে স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন


আগামী নিউজ | জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২১, ১১:৪৪ এএম
সৈয়দপুর টু ডোমার সড়ক নির্মাণে স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন

ছবি : আগামী নিউজ

উত্তরাঞ্চলঃ পিছিয়ে পড়া নীলফামারী জেলার অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন করতে সৈয়দপুর টু ডোমার পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। দুটি প্রকল্পে ভাগ করে এ সড়কের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সৈয়দপুরের ওয়াপদা মোড় হতে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত একটি প্রকল্প। আবার চৌরঙ্গী মোড় হতে ডোমার পর্যন্ত আরেকটি প্রকল্পে কাজ হচ্ছে। 

নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম জানান, সৈয়দপুরের ওয়াপদা মোড় হতে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪৪৩ কোটি টাকা। সেই হিসেবে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। আর প্রতি মিটার নির্মাণ বাবদ কমপক্ষে ২৯ লাখ টাকা হচ্ছে ব্যয়। এতো বিশাল অংক ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ করায় সাধারণের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশিষ্টজনদের মতে, যে সড়কের প্রতি মিটারে (সাড়ে ৩৭ ইঞ্চি) প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে, তাহলে সেই সড়কের স্থায়িত্বকাল নিশ্চয় দীর্ঘ হবে। তাদের মতে, ব্রিটিশের গড়া চুন সুরকির গাথুনির ভবন ও সড়কগুলো ১৩০ বছর বয়সেও অহংকারের সঙ্গে নিখাত রয়েছে। তাহলে আধুনিক যুগের গড়া অবকাঠামো স্বাধীন দেশে শতবছর টিকে থাকবে না কেন?

এদিকে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে ডোমার শহর পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়কের কাজও বেশ এগিয়ে চলছে। এই অংশে ব্যয় হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। ১০ দশমিক ৩ মিটার (৩৩ ফুট) প্রস্থ সড়কে থাকছে ২ লেন হার্ডসোল্ডার। সৈয়দপুর অংশে আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিলো চলতি বছরে। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে নির্মাণকাল ১ বছর বৃদ্ধি পেয়ে আগামী ২০২২ সালে কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন। এদিকে ডোমার অংশে কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। এটিরও নির্মাণকাল শেষ হবে আগামী ২০২৩ সালে। নীলফামারীর চৌরঙ্গী মোড় থেকে ডোমার পর্যন্ত এ আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে ২৬ কিলোমিটারে বাঁক ছিলো অর্ধশতেরও বেশি। এবারে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করায় বাঁকের সংখ্যা ৭টিতে নেমে এসেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম বলেন, সড়কে বাঁক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এ জনপদের মানুষের পরিবহনে জানমাল রক্ষার্থে নতুন করে সড়ক নির্মাণে বাঁকের সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে আনা হয়েছে। সড়কটি স্ট্রেইট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার মতে, সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতেই সড়ক নির্মাণে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এই সড়কের কাজ শেষ হলেই পরবর্তী পর্যায়ে ডোমার থেকে চিলাহাটি স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ শুরু হবে। স্থলবন্দর চালু হলে সড়কের ওপর চাপ পড়বে। সেজন্য সরকার চাপ সামলাতে আগাম সড়ক নির্মাণের প্রস্তুতি চুড়ান্ত করতে চলেছে। চিলাহাটি স্থলন্দর চালু হলে এই জনপদের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে