Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মোঘল স্থাপত্যের নির্দশন বিবিচিনি শাহী মসজিদ


আগামী নিউজ | সাইদুল ইসলাম মন্টু, বেতাগী(বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২১, ০৩:৪২ পিএম
মোঘল স্থাপত্যের নির্দশন বিবিচিনি শাহী মসজিদ

ছবিঃ আগামী নিউজ

বরগুনাঃ জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে অবস্থিত মোঘল স্থাপত্য ‘বিবিচিনি শাহী মসজিদ’ ঐতিহাসিক প্রাচীন এই মসজিদ প্রয়োজনীয় সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য হারাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র হিসাবে অবহিত করা হয় এ মসজিদকে।

সপ্তদশ শতাব্দীতে ইসলাম প্রচারের লক্ষে আধ্যাত্মিক সাধক শাহ নেয়ামতউল্লাহ এক গম্বুজ, দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট, প্রস্থ ৩৩ ফুট, দেয়ালগুলো ৬ ফুট চওড়া, উচ্চতা ২৫ ফুট দক্ষিনে এবং উত্তর দিকে তিন তিনটি দরজা তবে মূল প্রবেশদ্বার একটি। মসজিদের সংস্কার কাঠামোয় প্রবেশদ্বারের মূল ফটক সংস্কার করা হলেও প্রবেশপথ এখনো অপরিসর। মসজিদে ব্যবহৃত ইটগুলো মোঘল আমলের তৈরী। দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১০ ইঞ্চি এবং চওড়া ২ ইঞ্চি। সমতল ভূমি থেকে ৩০ ফুট সুউচ্চ টিলার উপর দিগন্তের মাঝে দাড়িয়ে আছে এ মসজিদ।

দর্শনার্থী ও নামাযীদের ওঠানামার জন্য মসজিদের  দক্ষিণ পাশের ২১ ধাপ বিশিষ্ট ৪৮ ফুট দীর্ঘ একটি সিড়িঁ রয়েছে।

সিঁড়ি নির্মানের ফলে যাতায়াতের পথ সুগম ও সহজ হলেও বর্তমানে টিলা বেয়ে মুসুল্লিদের নামাজ পড়তে ও পর্যটকদের আসা যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়তে হয়। মসজিদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে বহুদিন। পূর্ব পাশের ২৫ ধাপ বিশিষ্ট ৪৬ ফুট দীর্ঘ সিঁড়িটির অবস্থাও নাজুক। পর্যটকদের থাকার জন্য নেই কোন ডাকবাংলো। বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা পাচ্ছে না।

সম্ভাবনাময় এ পর্যটন স্পটটি পর্যটকদের পাশাপাশি সকলের হৃদয়কে আকৃষ্ট করে তুললেও পরিবেশ রক্ষার্থেও নেই তেমন কোন উদ্যোগ। স্থানীয় কিছু লোক মসজিদের টিলার নিচের মাটি কেটে তাদের জমি বাড়িয়ে আবাদ করে টিলার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ মসজিদকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করেছন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

দীর্ঘদিনের অরক্ষিত জরাজীর্ন অবস্থা থাকা মসজিদটির উদ্ধারের পর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংস্কার করলেও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ সংস্কার কাঠামোয় মসজিদের পুরানো কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যের সাথে হুবুহু মিল রেখে কাজ করা হয়। মসজিদের ভেতরে অবাধে বায়ু চলাচলের পথগুলো উম্মুক্ত রাখা হয়। কোন মতে স্থাপন করা হয় বাতি ও বৈদ্যুতিক পাখা।

জানা যায়, পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে মসজিদের আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত সম্প্রসারন ও সংস্কারের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিলেও আজও তা আলোর মুখ দেখেনি।

তরুন ইতিহাসবিদ আব্দুল কাইউম বলেন, ইতিহাস সমৃদ্ধ এ স্থাপত্যটি রক্ষা করা সরকার ও জনগনের  নৈতিক দায়িত্ব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, বিবিচিনি শাহী মসজিদের সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে