Dr. Neem on Daraz
Victory Day

এখনই বাজারে আসছে না সোনালী ব্যাংকের শেয়ার


আগামী নিউজ | আমির হামজা ও জুনায়েদ সওদাগর প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৯:২০ পিএম
এখনই বাজারে আসছে না সোনালী ব্যাংকের শেয়ার

সরকার না চাওয়ায় আপতত বাজারে আসছে না রাষ্ট্রয়াত্ত সোনালী ব্যাংকের শেয়ার। ব্যাংকটি ট্রেজারি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি পুঁজিবাজার বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে সোনালী ব্যাংকের শেয়ার না আসলেও জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বিডিবিএল ব্যাংকের শেয়ার সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব পালন করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক নবগঠিত পুঁজিবাজার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারকে গতিশীল এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে প্রথমে রূপালি ব্যাংক ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে। এছাড়া জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক পর্যায়ক্রমে তাদের সরকারি শেয়ারের সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে। 

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগসহ অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, আইসিবি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকের শেয়ার সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে সব ব্যাংককে ভ্যালুয়ার নিয়োগ করে রিভ্যালুয়েশনের কাজ করতে হবে।  

উল্লেখ্য, ট্রেজারি কার্যক্রম বলতে বোঝানো হয়েছে- সরকারের তহবিল যা দিয়ে  বাজেট এবং ব্যয় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

সরকারি ব্যাংকের তালিকাভুক্তির শুরুতে রূপালি ব্যাংক লিমিটেড সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে। ইতিপূর্বে ব্যাংকটি ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বাকি ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি ও শেয়ারমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে দুইটি ধাপে সম্পন্ন করা হবে। 

সরকার পরিচালিত ব্যাংকগুলির প্রতিটি পরিচালনা পর্ষদ সভায় শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আইসিবি পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ার ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। এখন প্রাপ্ত নথি অনুসারে, আইসিবি সহায়ক সংস্থা মূলধন পরিচালনা সংস্থা এবং সরকারি ব্যাংকের সহায়ক সংস্থা মার্চেন্ট ব্যাংককে যৌথভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শেয়ার ছাড়ার জন্য কাজ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, রাষ্ট্রয়ত্ত সোনালী ব্যাংক দেশের বৃহত্তম ব্যাংক এবং এটি পরিশোধিত মূলধন ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে সোনালী ব্যাংকের মোট অপরিবর্তনীয় ঋণের দাঁড়িয়েছে তার মোট বকেয়া ঋণের ২২ লাখ ৪ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।

ব্যাংকটি ২ হাজার ৫৬ দশমিক ১৮ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি নিয়ে চলছিল, আর গত বছর এর পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) একটি রাষ্ট্রয়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংক এবং গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে তার নন পারফরম্যান্স ঋণের পরি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৬৩ দশমিক ১ কোটি টাকা, যা তার মোট বকেয়া ঋণের ৩৮ দশমিক ২২ শতাংশ। বিডিবিএল পরিচালন মুনাফা গত বছর দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ০৭ কোটি টাকা।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের ব্যালান্স শিট অনুসারে রাষ্ট্রয়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। আর গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭  হাজার ৮৮৭ দশমিক ৯ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রের মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনটি ২০১৩ সালের শেষদিকে ২৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। তবে এটি সরকারি ব্যাংকের সকল ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২১ হাজার ৬৬০ দশমিক ০৬ কোটি টাকার (মোট বকেয়া ৪৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ) খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল? গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৩৩ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা।

আগামীনিউজ/আমির/জুনায়েদ/মামুন/রাফি


 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে