Dr. Neem on Daraz
Victory Day

জুলুম-ক্রোধের বদলায় ইসলাম কী বলে?


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩, ০১:০৪ এএম
জুলুম-ক্রোধের বদলায় ইসলাম কী বলে?

প্রতীকী ছবি

ঢাকাঃ অন্যের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়া অনেক বড় গুণ। আর তা যদি হয় অত্যাচার-নিপীড়নের ক্ষমার বিষয় তবে এর প্রতিদান কী হতে পারে! মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমে মুমিন বান্দার এ গুণ ও এর বিনিময় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা এভাবে দেন-

সুরা ফুসসিলাত, আয়াত নং ৩৪-৩৫-

وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ  وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ  بِالَّتِیۡ  ہِیَ  اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَہٗ  عَدَاوَۃٌ کَاَنَّہٗ  وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ ﴿۳۴﴾ وَ مَا یُلَقّٰہَاۤ  اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا ۚ وَ مَا یُلَقّٰہَاۤ  اِلَّا  ذُوۡحَظٍّ  عَظِیۡمٍ ﴿۳۵﴾ وَ اِمَّا یَنۡزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ  ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۳۶﴾
অর্থ:(৩৪) ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। (৩৫) এ চরিত্রের অধিকারী শুধু তারাই হয় যারা ধৈর্যশীল, এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয় যারা মহাভাগ্যবান। 

তাফসীর: ” মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেন, ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না, বরং এ দু’য়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যে তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তুমি তার সাথে ভাল ব্যবহার কর। এভাবে খারাপকে ভাল দ্বারা প্রতিহত কর। এর ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা ধৈর্যশীল এবং এই গুণের অধিকারী শুধু তাদেরকেই করা হয় যারা মহা ভাগ্যবান। অর্থাৎ অন্যায়ের বদলা নিতে হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার দ্বারা, জুলুমের বদলা নিতে হবে ক্ষমা করে, ক্রোধের বদলা নিতে হবে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এতে করে উপকারিতা হলো, শত্রু“ বন্ধুতে পরিণত হয়ে যাবে, তোমার থেকে দূরে দূরে থাকত এমন ব্যক্তি নিকটতম হয়ে যাবে। আর এ গুণটা অর্থাৎ মন্দকে ভাল দ্বারা পরিবর্তন করার অভ্যাস সকল মানুষের মধ্যে থাকে না, শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তিই এটা করতে সক্ষম যারা ধৈর্য ধারণ করতে পারে, রাগকে দমন করতে পারে এবং অপছন্দনীয় কথা-বার্তা সহ্য করতে পারে। এটা তাদের দ্বারাই সম্ভব, অন্য কারো পক্ষে এটা সম্ভব নয়। 

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, মুমিনদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন ক্রোধের সময় ধৈর্য ধারণ করে এবং অন্যদের মূর্খতা ও নির্বুদ্ধিতার উপর নিজেদের সহনশীলতার পরিচয় দেয়। তারা যেন অপরের অপরাধকে ক্ষমার চোখে দেখে। এরূপ লোককে আল্লাহ তাআলা শয়তানের আক্রমণ হতে রক্ষা করে থাকেন এবং তাদের শত্রুরা তাদের অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়।
(তাফসীর - ইবনে কাসির, ফাতহুল মাজীদ)।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে