Dr. Neem on Daraz
Victory Day

দুপচাঁচিয়ায় বসন্ত-মাধুরী শিমুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে


আগামী নিউজ | মতিউর রহমান দেওয়ান পলাশ ,দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২১, ০৩:১৩ পিএম
দুপচাঁচিয়ায় বসন্ত-মাধুরী শিমুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে

ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়াঃ বসন্তের প্রাণ জুড়ানো বাতাস, ঠিকরে পড়া রোদ, গাছে গাছে নতুন পাতা, সজীব হয়ে উঠা ধানের চারা, আম-লিচু মুকুলের মন মাতানো গন্ধ, উদাস দুপুর আর সজনে ফুলের শুভ্রতার সাথে রক্তলাল শিমুল ফুল তার রূপের দ্যূতি ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতি রাঙিয়ে ফুটেছে শিমুল ফুল। শিমুলের রূপের বণর্চ্ছটায় পথিকের চোখকেও আটকে যেতে হচ্ছে বার বার। সবুজবেষ্টিত প্রকৃতিতে হঠাৎ প্রস্ফুটিত  গাঢ়  লাল আভার শিমুল ফুল রাঙিয়ে দিয়েছে সবার হৃদয়। গাছ থেকে ঝরে পড়া লাল ফুলগুলি কুড়িয়ে জড়ো করার লোভ সামলাতে পারছে না অবুজ শিশুরাও।

দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিমুল ফুল এই ফাগুনে মনের আগুন হয়ে ঝরে পড়লেও ঋতুরাজ বসন্তে এখন তা আর হরহামেশাই চোখে পড়ে না । কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বলে আফসোস করলেন আমশট্ট গ্রামের সত্তরোর্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী।

উপজেলার দুইভাই নার্সারীর সত্বাধিকারী বেলাল হোসেন এবং বাগানবাড়ী নার্সারীর সত্বাধিকারী আব্দুস ছালাম জানান, শিমুল গাছের চারা কেউ কিনে রোপন করতে চায় না। তাই নার্সারীগুলোতে শিমুল গাছের চারা উৎপাদন করা হয় না।

দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান কলেজের কৃষি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক দিনেশ চন্দ্র বসাক বলেন, শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। বসন্তে শিমুল গাছে ফোটা ফুল কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলা তেরি হয়।

গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে। তিনি আরও বলেন, শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায়। একটু পরিচর্যা করলে প্রাণবন্তভাবে বেড়ে উঠে শিমুল গাছ। পরিবেশের বিপর্যয় রোধে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রোধে বাঁচিয়ে রাখতে শিমুল গাছের চারা রোপন জরুরি ।সেইসাথে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শিমুলগাছের চারা রোপনের জন্য গুরুত্বারোপ করে প্রচারণার প্রয়োজনিতাও  এখন সময়ের দাবী।

আগামীনিউজ/সোহেল

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে