Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মেঘনা নদী এখন কচুরিপানার দখলে


আগামী নিউজ | বেনজির আহমেদ বেনু, নরসিংদী প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১, ০২:৩৮ পিএম
মেঘনা নদী এখন কচুরিপানার দখলে

ছবি: আগামী নিউজ

নরসিংদী: জেলার মেঘনা নদী এখন কচুরিপানার দখলে। দেখলেই মনে হয় এ যেন কচুরিপানার অভয়ারণ্য। পুরো নদী কচুরিপানার দখলে থাকায় নৌ চলাচলে বিঘ্নসহ প্রায়ই বিভিন্ন রকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটছে, এতে দূর্ভোগসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চরাঞ্চলবাসী। 

সরেজমিনে নরসিংদীর মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, নরসিংদী থানাঘাট হতে করিমপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীপথ দখল করে নিয়েছে ভাসমান কচুরিপানা। এতে নরসিংদীর সাথে চরাঞ্চলের নৌ যোগাযোগ প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ফলে গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ ভোগান্তিতে পড়েছে চরাঞ্চলবাসি।

ভুক্তভোগি চরাঞ্চলবাসী জানান, চরবাসীদের নিত্য পন্য, ঔষধ, কাচাঁ মালেরসিংহভাগই আসে নরসিংদী থেকে। নৌকা যোগে এসব আনতে মারাত্নক দুর্ভোগের স্বীকার পোহাতে হচ্ছে তাদের। নদী জুড়ে ভাসমান কচুরিপানা থাকায় লঞ্চ, স্টিমার, ইঞ্চিন চালিত নৌকা চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ইতোমধ্যে নরসিংদী থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারি কয়েক’শ স্পিডবোর্ট প্রায় বন্ধেন পথে। এ অবস্থায় লোকজন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা। আগে যেসব স্থানে যেতে সময় লাগত এক ঘন্টা এখন সেখানে যেতে সময় লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। 

জানা যায়, ভাসমান এসব কচুরিপানার উৎস হচ্ছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ মাছের ঘের আর ওইসব ঘেরে কচুরিপানা বাতাসে এসে জমা হয় নরসিংদী নদীবন্দরে। 

প্রতি বছরই এ সময়ে নরসিংদীর মেঘনা নদী দখল করে নেয় ভাসমান এই কচুরিপানা। যার ফলে প্রতিবছরই এমন দুর্ভোগে পড়তে হয় চরাঞ্চলসহ নৌপথে যাতায়তকারিদের। 

ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাঝি মালেক (৪৭) জানান, কচুরিপানার কারণে ঠিকভাবে এখন নৌকা চালাতে পারেনা তারা। একটু পরপরই ভাসমান কচুরিপানার স্তুপে আটকে যায় নৌকা। এসময় লগি বৈঠা দিয়ে আটকে যাওয়া নৌকাকে মুক্ত করতে হয়। তাছাড়া যে গতিতে নৌকা চালায় তারা কচুরিপানার কারণে সেই স্বাভাবিক গতিতে চলাতে পারে না। সেজন্য গন্তব্যে পৌছতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দুই তিন গুণ বেশী সময় লাগে। আর এর জন্য তাদেরকে অতিরিক্ত তেল পুড়তে হয়। 

স্পিডবোট চালক জজ মিয়া (৩৮) বলেন, নদীতে কচুরিপানা এতো বেড়েছে যার কারণে তাদেরকে বোর্ট চালানোই প্রায় বন্ধের পথে। আর তাহলে এতে তারা কর্মহীন হয়ে কষ্টকর জীবন যাপন করতে হবে । এ ব্যাপারে চরাঞ্চলের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কচুরিপানার ছবি ও ভিডিও, পোস্ট করে বারবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছে। তাদের এ প্রচেষ্টা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি-গোচর হয়েছে কি-না তা তারা জানেনা। আর যদি দৃষ্টি-গোচর হয়েও থাকে তবে কেন চরাঞ্চলবাসীরা এখনো দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, কেন এখনও এগিয়ে আসছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা তাদের জানা নেই। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নৌকার মাঝিরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

আগামীনিউজ/নাহিদ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে