Dr. Neem on Daraz
Victory Day

খাদ্যপুষ্টির পেছনে ব্যয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০৯:৫৫ পিএম
খাদ্যপুষ্টির পেছনে ব্যয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা

সংগৃহীত ছবি

​​ঢাকাঃ রাষ্ট্রের খাদ্যপুষ্টির পেছনে বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন। তাই এই পুষ্টি ও খাদ্যের নিরাপদতার ঠিকঠাক জ্ঞান অর্জনের রাষ্ট্রের এ অর্থ বাঁচবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৭ জুন ) রাজধানীর শাহবাগের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে ‘গবেষণা বিষয়ক সূচনা কর্মশালা ও পুরস্কার প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্য সচিব বলেন, সরকারের প্রায় ১৮টা মন্ত্রণালয়-বিভাগ পুষ্টি নিয়ে কাজ করে। বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় রাষ্ট্রের খাদ্যের পুষ্টির পেছনে। আমরা যদি খাদ্য নিরাপদ করতে পারতাম এবং পুষ্টি ও খাদ্যের নিরাপদতা নিয়ে মানুষকে ঠিকঠাক জ্ঞান দিতে পারতাম তাহলে দেশের এই ৩৫ হাজার কোটি টাকা লাগতো না। সুতরাং সমস্যাটা কোথায় সেটা আমাদের চিহ্নিত এবং সমাধান করতে হবে, সবকিছু সাদা চোখে দেখলে হবে না।

ইসমাইল হোসেন বলেন, নিরাপদ খাদ্য সারা দেশের জন্য একটা বার্নিং ইস্যু। আমাদের দেশের জন্যতো বটেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের খাদ্য নিরাপদতার কথা বলে এসেছি। আমরা সবসময় জনগণের পাকস্থলির চাহিদা পূরণ করার জন্য বলে এসেছি। দেশে বড় বড় যে সফলতাগুলো আছে তার মধ্যে আমাদেরও কিছু অর্জন আছে। আমরা স্বাধীনতার পর এক কোটি মেট্রিকটন খাদ্য-শস্য যখন উৎপাদন করতাম সেখান থেকে ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ফেলেছি ৬ কোটি মেট্রিক টন খাবার উৎপন্ন করছি। যখন মানুষ ৭ কোটি ছিল তখন খাবারে কিছু কিছু সংকট ছিল।

তিনি বলেন, যদি কোনো কারণে ৫০ শতাংশ খাদ্য-শস্য কলাপস করে তাহলে পৃথিবীর কোনো দেশ থেকে আমরা খাবার পাবো না। কারণ আমরা ধান নির্ভর (রাইচ ডিপেনডেন্ট) দেশ। খাদ্যশস্যের দিক থেকে আমরা অনেক বড় সফলতা অর্জন করেছি। খাদ্যের নিরাপদতা নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।

জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, জাইকা শুরু থেকেই আমাদের সহযোগিতা করছে এবং সামনে আরও বড় সহযোগিতার হতে বাড়িয়ে দিয়েছেন। জাইকার সহযোগিতার পাশাপাশি আশার আলো দেখাচ্ছে দেখাচ্ছে ডব্লিউএফপি, এফএও-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

খাদ্য সচিব বলেন, পথ অনেক লম্বা এই বলে তো আমি ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের ধীরে ধীরে এগুতে হবে। এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিকক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে সময় লাগে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি এত অল্প সময়েও এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে। এখনও কিছু কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধান করতে অনেক সময় লাগবে। তবে সময় লাগলেও তো আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক গবেষণায় ৭ জনকে মোট ৭৪ লাখ টাকা ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোরশেদ আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার আরিফুল ইসলাম, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন প্রধান ও ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরীসহ প্রমুখ।

এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে