Dr. Neem on Daraz
Victory Day

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০১:১০ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম

ঢাকাঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না। সব আসনে ভোট হবে ব্যালট পেপারে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় কমিশনের ১৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

জাহাংগীর আলম বলেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ব্যালট পেপার এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ মেশিন মেরামতের জন্য যে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল, সে অর্থ প্রাপ্তির অনিশ্চয়তার কারণে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আসন্ন পাঁচ সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার চলমান থাকবে বলে জানান ইসি সচিব।

তিন কারণে সরে আসা একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট হলেও এবার একটি আসনেও হচ্ছে না।

ইসি সচিব বলেন, ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবও নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি আর গৃহীত হয়নি। ইভিএমের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ ১ লাখেরও বেশি ইভিএমের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ প্রস্তাব করে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে আগামী অর্থবছরে পাওয়া যেতে পারে বলে নিশ্চয়তা দেয়। এ অবস্থায় ইভিএমগুলো কিউসি (কোয়ালিটি চেকিং) করে কাজ করার মতো অর্থ ইসির হাতে নেই এবং সময়সাপেক্ষ বিষয়। রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে বিরোধিতাও কমিশনের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে বলে জানান তিনি।

জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচনের আগে সময় স্বল্পতা ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ পেতে নিশ্চয়তা না পাওয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে যে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে– সব বিষয় বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেও দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। কিন্তু সরকারের সায় না পাওয়ায় ইসির প্রস্তাবিত প্রকল্প স্থগিত হয়ে যায়। পরে ইসির হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ করে অন্তত ৫০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা ছিল ইসির। তবে ইভিএম মেরামতেও হাজার কোটি টাকার সংস্থান চাওয়া হয়। তাতেও আর্থিক সংকটের কারণে অর্থ পেতে সংশয় দেখা দেয়। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সিংহভাগই ইভিএমে ভোট করার বিরোধিতা করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ইভিএমে সংসদ নির্বাচনে ভোট করা থেকে সরে এল কমিশন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে