Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৫ মিনিটেই পাবেন জমির আরএস খতিয়ান


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২০, ০৩:২৪ পিএম
৫ মিনিটেই পাবেন জমির আরএস খতিয়ান

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ জমির আরএস খতিয়ান। যাদের জমি আছে তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা দ্বারা জমি পরিমাপ বা চিহিৃত করা হয়। আমরা অনেক সময় এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলের সমস্যায় পড়ি। অনেকে জমির এই আরএস খতিয়ান হারিয়ে ফেলি আবার অনেকের জমির আরএস খতিয়ান থাকে না, যা পরবর্তীতে কোর্টের মাধ্যমে উঠানো লাগে। সবমিলিয়ে অনেকেই এই ঝামেলায় পড়ে যান। 

যারা জমির এই আরএস খতিয়ান হারিয়ে ফেলেছেন অথবা যাদের জমির আরএস খতিয়ান নেই তাদের জন্য সুখবর। মাত্র দুই থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অনলাইনে পাওয়া যাবে জমির এই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। আসুন জেনে নেই মাত্র পাঁচ মিনিটেই যেভাবে অনলাইনে পাবেন জমির আরএস খতিয়ান।

ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ফরাসি বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়।

‘আরএস খতিয়ান’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ।

এ ছাড়া মোবাইল অ্যাপ, ‘rsk.land.gov.bd’ এবং ‘drroffice.land.gov.bd’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক ঘরে বসে অথবা নিকটস্থ যে কোনো ডিজিটাল সেন্টারে অথবা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে নিজের জমিসংক্রান্ত তথ্য দেখার সুযোগ পাবেন।

অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা বাছাই করতে হবে। খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর বা মালিকানা নাম বা পিতা বা স্বামীর নাম দিয়ে খতিয়ান খোঁজা যাবে।

এ ছাড়া খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপির জন্য অনলাইনে আবেদন, আবেদন নিষ্পত্তি বিষয়ে ট্র্যাকিং ও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনিটরিং করার সুবিধা রয়েছে এই অনলাইন ব্যবস্থায়।

অনলাইনে খতিয়ানের কপি পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় নাগরিকের নাম, পরিচয়পত্র নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। নির্ধারিত তথ্য দেওয়ার পর মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ানের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে চাইলে সরাসরি অনলাইন কপি প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে।

সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনের সময় নাগরিকের নাম, পরিচয়পত্র নম্বর, ফোন নম্বর দিতে হবে। তথ্য প্রদানের পর মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ানের জন্য ফি দিতে হবে। ফি দেওয়ার পর সার্টিফাইড কপির জন্য নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইমেইল, মোবাইল নম্বর, ট্রানজেকশন আইডি ও ডাকযোগে যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা অফিস থেকে বা আবেদনকারীর প্রত্যাশিত ঠিকানায় ডাকযোগে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আরএস খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করা হবে।

আগামীনিউজ/প্রভাত
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে