Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন: প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৩, ০২:৩৪ পিএম
আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন: প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

ঢাকাঃ চলতি বছর ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু এসব দেশের নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গ টেনে বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন?

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দিনগুলো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং কি না, প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে, ব্যক্তিজীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য না। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রম করা যায়। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারবো।

বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশের বিষয়ে নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে না করেছে ভারত। আবার বিএনপি বলছে যে ভারত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা তাদের কথা বলুক, আমরা আমাদের কাজ করবো।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে মনে হতে পারে, আওয়ামী লীগের পাশে আছে ভারত, আর বিএনপির পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন এ অঞ্চলকে ঘিরে বিভিন্ন দেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা স্বাভাবিক। ওদিকে, আবার চীন আছে।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ইকুয়েডরে নির্বাচন হচ্ছে, আর্জেন্টিনাতেও নির্বাচন হচ্ছে। চলতি বছর ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও কারও কোনো কথা নেই। কোথাও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনোকিছু নেই। ইকুয়েডরে তো নির্বাচনী প্রার্থীকে মেরে ফেলেছে। এসব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? এর কারণটা আসলে কী আমরা তা বুঝি না।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা কি আমাদের কারণেই হচ্ছে? এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার আগেই অনেকে চোখ কচলাতে কচলাতে দূতাবাসে ছুটে যান। এটা তো আমরা করি না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের কাছে সময় চেয়েছে, আমরা তাদের সময় দিয়েছি। আমরা রবাহূতের মতো সেখানে যায়নি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সে কারণে আমরা দাওয়াতে গিয়েছি ও কথাবার্তা বলেছি। আমি স্পেসিফিকলি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম যে, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আপনাদের মতামত চাই। তিনি জানিয়েছেন এসব বিষয়ে তাদের কোনো মতামত নেই।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের নিয়ম ও সংবিধান রয়েছে। দুনিয়ার অন্য দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়, আমরাও এর বাইরে যাচ্ছি না।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুগত কোনো প্রতিষ্ঠান না। ভারত নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে। আমাদের কখনো বলেনি যে আপনারা নির্বাচনে এই করেন, সেই করেন, তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আসেন। এসব কথা আমেরিকাও বলেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা, এসব বিষয়ে আমেরিকাও কিছু বলেনি। মিটিংয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাদের জিজ্ঞাসা করেছি। তাদের দেশে এসব নেই, দুনিয়ার কোনো দেশে নেই, কেন বাংলাদেশে এসব হবে?

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে