Dr. Neem on Daraz
Victory Day

করোনায় মৃত দলীয় নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০, ০১:২৫ পিএম
করোনায় মৃত দলীয় নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি সংগৃহিত

ঢাকাঃ সারাদেশে মারা যাওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলা, সংক্রমণরোধ ও করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী গত ১ এপ্রিল ৩১টি, ১৬ এপ্রিল ১০টি, ২০ এপ্রিল ১৩টি এবং ২৭ এপ্রিল ১০টি নির্দেশনা দেন। এর ভেতর বেশ কিছু নির্দেশনা ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি। ১৫ এপ্রিল সারাদেশে ‘ত্রাণ কমিটি’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। গত সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধানমন্ডিতে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে ৩টি নির্দেশনা দেন।

দলীয় সভাপতির নির্দেশনায় এ তথ্য সংগ্রহ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে ৫৮টি সাংগঠনিক জেলায় সংগৃহীত তথ্যে দল, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের মোট ৫২২ জন নেতাকর্মীর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের ৫৭ সাংগঠনিক জেলায় ৫২২ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির চারজন সদস্যও রয়েছেন। আছেন মন্ত্রিপরিষদ এবং দলীয় সংসদ সদস্যও। সবচেয়ে বেশি ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে। ৮ সাংগঠনিক বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৯ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া রংপুর বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, সিলেট বিভাগে ৩৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ১২৯ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামীলীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ বিষয়ে বলেন, আমরা করোনার রিপোর্ট আনছি। সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ৫৮টি জেলায় ৫২২ জন মারা গেছেন। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, সারা বাংলাদেশে আমাদের কতজন মারা গেছেন, এটার তথ্য তুলে নিয়ে আসো। সে অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ চলছে। আরও কয়েকটি সাংগঠনিক জেলার তথ্য পাওয়া বাকি আছে। সেগুলোর তথ্য পেলে এই তালিকা পূর্ণাঙ্গ হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, এ তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রেখেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী- রংপুর বিভাগের ৯টি জেলার মধ্যে তিনটির তথ্য কেন্দ্রে এসেছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে একজন, লালমনিরহাটে তিনজন, কুড়িগ্রামে একজন মারা গেছেন। নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর, রংপুর মহানগর ও দিনাজপুরের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। রাজশাহী বিভাগের ৯ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে রাজশাহী মহানগরে তিনজন, বগুড়ায় আট জন, জয়পুরহাটে একজন, নওগাঁতে দুইজন ও পাবনায় একজন মারা গেছেন। এখনও সিরাজগঞ্জ জেলার তথ্য পাওয়া যায়নি।

সিলেট বিভাগের পাঁচ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে- হবিগঞ্জে একজন, সিলেটে আটজন, সিলেট মহানগরে তিনজন, মৌলভীবাজারে ১৩ জন ও সুনামগঞ্জে ৯ জন মারা গেছেন। খুলনা বিভাগের ১১টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে চারটির তথ্য কেন্দ্রে এসেছে। এর মধ্যে- চুয়াডাঙ্গায় সাতজন, মেহেরপুরে ২২ জন, কুষ্টিয়ায় একজন, ঝিনাইদহে একজন, সাতক্ষীরায় আটজন আওয়ামী লীগ নেতা করোনায় মারা গেছেন। এই বিভাগের মাগুরা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, খুলনা ও খুলনা মহানগরের তথ্য পাওয়া যায়নি।

বরিশাল বিভাগের সাত সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৬টির তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে বরগুনায় দুইজন, ভোলায় একজন, পটুয়াখালীতে পাঁচজন, বরিশালে একজন ও ঝালকাঠিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বরিশাল মহানগরের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিভাগে ১৭টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ১৪টির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গাজীপুরে ১১ জন, মুন্সীগঞ্জে ২৪ জন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ১৭৩ জন, গোপালগঞ্জে ছয়জন, ঢাকা মহানগর উত্তরে ১৩ জন, ঢাকা জেলায় চারজন, শরীয়তপুরে তিনজন, রাজবাড়ীতে চারজন, নারায়ণগঞ্জে তিনজন, মাদারীপুরে সাতজন, টাঙ্গাইলে ১৬ জন, গাজীপুর মহানগরে পাঁচজন মারা গেছেন। ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও নরসিংদী সাংগঠনিক জেলার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

ময়মনসিংহ বিভাগের ৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে চারটির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নেত্রকোনায় তিনজন, শেরপুরে একজন ও ময়মনসিংহে চারজন মারা গেছেন। জামালপুরের তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে- চাঁদপুরে ১২ জন, কক্সবাজারে পাঁচজন, বান্দরবানে দুইজন, ফেনীতে ৯ জন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় ৬৫ জন, কুমিল্লা উত্তর জেলায় চারজন, নোয়াখালীতে ১৪ জন, কুমিল্লা মহানগরে ৯ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ জন মারা গেছেন করোনায়। এছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, চট্টগ্রাম মহানগর ও লক্ষ্মীপুর জেলার তথ্য পাওয়া যায়নি।

করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য রয়েছেন চার জন। তারা হলেন— দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান এবং উপদেষ্ঠা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে