Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২০, ০৭:০৯ পিএম
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) উদ্যোগে ক্র্যাব কার্যালয়ের সামনে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলু ও সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার অপকর্ম নিয়ে মানবজমিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবুও এমপি আসাদুজ্জামান শিখর বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও প্রতিবেদক  মো. আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে শিখর নিজেই প্রমাণ করেছেন যে, এই অপকর্মে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। নতুবা যে সংবাদে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি সেই সংবাদে তিনি ক্ষুব্ধ হবেন কেন? বিষয়টি ‘ঠাকুর ঘরে কেরে, আমি কলা খাই না’ এরকম।

বক্তারা বলেন, একইভাবে বিতর্কিত এই আইনটি ব্যবহার করে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন এক ব্যক্তি। এছাড়াও এমপি শিখরের মামলার আসামি আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ রয়েছেন। কুড়িগ্রামে আরেক সাংবাদিককে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেয়া হয়েছে, শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে দেশের কোথাও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই।

অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্র্যাবের দুই সদস্যসহ সাংবাদিকদের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সমাবেশে ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, একজন সংসদ সদস্য আমাদের এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অথচ সংবাদে তার নাম প্রকাশিত হয়নি। তাহলে এটি কীভাবে মানহানি হলো? বরং তিনি যে মামলা করেছেন তার নামেই উল্টো  মানহানির মামলা দায়ের করা যায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক বান্ধব। অবলিম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। 

সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, ক্র্যাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক আল হাদী, ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ডিইউজের সাবেক জনকল্যাণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ক্র্যাবের নির্বাহী সদস্য রুদ্র মিজান প্রমুখ।

এসময় অন্যানের মধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, ডিআরইউ’র সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম, ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য আনিস রহমান, ক্র্যাবের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত কাওসার, ক্র্যাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জাজামান, ক্র্যাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফ বাবুল, আন্তর্জাতি সম্পাদক শাহিন আলম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবাদুজ্জামান শিমুল, ক্রাব বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক সাইফুল ইসলাম মুন্টুসহ ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজেসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামীনিউজ/সুশান্ত/নুসরাত     

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে