Dr. Neem on Daraz
Victory Day

একটি রোমাঞ্চকর ভ্রমণ অতঃপর মেয়েটি


আগামী নিউজ | রেজাউল ইসলাম প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১, ০৯:৪৩ এএম
একটি রোমাঞ্চকর ভ্রমণ অতঃপর মেয়েটি

জার্মানীর রাজধানী বার্লিন শহর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন থেকে স্থানীয় সময় রাত ১২ টার সময় বাসে রওয়ানা দিলাম জার্মানীর রাজধানী বার্লিন শহরের উদ্দেশ্য। বাসের ড্রাইভার ছিলেন একজন মহিলা। তার পিছনেই সামনের দিকে ছিল আমার সিটটা।বাসে উঠার সময় খুবই আন্তরিকতা র সাথে বললেন, হ্যালো, গুড নাইট,হাউ আর ইউ?আমি বললাম, ফাইন,পাল্টা প্রশ্ন করলাম, হোয়াট ইজ এবাউট ইউ? ফাইন, বলেই আমার টিকিটটা পাঞ্জ করে সিট দেখিয়ে দিলেন।আমি গিয়ে আমার সিটে বসলাম। মহিলাটি একাই সব কাজ করলেন। আমি আশ্চর্য হলাম! কত দক্ষতার সাথে কাজগুলো তিনি করছিলেন। 

যথারীতি রওয়ানা দিলাম বার্লিনের উদ্দেশ্যে। কত দক্ষতার সাথে বাস ড্রাইভ করছিলেন মহিলাটি, না দেখলে বুঝানো যাবে না।চুপ করে সারারাত জেগে উনি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে আবার সিগারেটও টানছিলেন।ডেনমার্কের ছেলেমেয়েরা সিগারেট টানে।রীতিমতো পকেটে সিগারেটের প্যাকেট থাকে তাদের।  

একটি কথাও নাই।মাঝে মাঝে শুধু আমাকে বলছিলেন, আর ইউ এনজয়িং ইওর ট্রিপ? আমি তো দারুণ ভাবে এনজয় করছি, জানিয়ে দিলাম তাকে।আসলে রাতে জানি'র সময় আমার কোনদিনই ঘুম আসে না।সেটা বাসে হোক বা ট্রেনে হোক বা প্লেনে হোক। 

আল্লাহর কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করি।আমার চাকরি জীবনে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ,এশিয়া,  আমেরিকা সহ বহু জায়গায়  ঘুরার সুযোগ হয়েছে।একটানা ২০/২৫ ঘন্টাও প্লেনের মধ্যে থেকেছি, সারারাত কাটিয়েছি, কিন্তু কোনদিন ঘুমাই নাই।সিটের সামনে গুগল ম্যাপ দেখেছি, জানালা দিয়ে রাতের আকাশ দেখেছি,পাহাড় দেখেছি, সমুদ্র দেখেছি, আবার ঝড়বৃষ্টিও উপভোগ করেছি।গুগল ম্যাপে সিটে বসেই সবকিছু দেখা যায়।সারারাত জেগে দেখেছি মনভরে উপভোগ করেছি, রাতের আকাশ।একটু ক্লান্তি বোধ করলে এয়ার হোস্টেজদের কাছে চা, কফি, ফ্রুট ড্রিংকস বা অন্যান্য খাবার চেয়ে খেয়েছি। আমার আশেপাশে সবাই তখন অঘোরে ঘুমায়। বড় বড় দেহধারী বিদেশি মানুষগুলো নাক ডেকে ঘুমায়।ওরে বাবা! বিরক্তিকর! 

বার্লিন যাওয়ার দিনও ঘুমাতে পারি নাই।ফাঁকা মাঠ, বাড়ি ঘড় নাইতেমন ,মাঠের মধ্যে দু একটা বাড়ি, লাইট জ্বলছে, পথে  দু একটা গাড়ি চলছে।সবকিছুই উপভোগ করছি প্রান ভরে।এরই মধ্যে চলে আসলাম ফেরি ঘাটে।এটা আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর দিকের সীমানার একটা প্রবাহ।বাসটার  ঘাটে টিকিট কাটা হলে তা একটা বিল্ডিং এর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হলো ।ফেরি আর ছাড়ে না।অসহ্য লাগছিলো। বাস থেকে নেমে বিল্ডিংটার লিফটে চড়ে উপরে গেলাম।একটা কফি খেলাম। মনে মনে বললাম, এখনও ফেরি ছাড়লো না।এতো আমাদের চেয়ে অনেক খারাপ। বিরক্তিকর!  খুব বিরক্তিকর! 

কফি শেষ করতে না করতেই স্পিকারে ঘোষনা এলো আমরা এপারে চলে এসেছি। আপনারা যার যার বাসে গিয়ে বসে পরুন। আসলে ফেরিটার মধ্যেই ছিল এই বিল্ডিংটা আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই।অনেক উপভোগ করার মত ছিল ঘটনাটা।

আমি অনেক দিন এই এলাকার দেশগুলোতে ঘুরেছি,কয়েকবার গিয়েছি।কারো সাথে কারো ঝগড়া করতে দেখিনি,চোর চোরটা দেখিনি, কাউকে মনে আঘাত দিয়ে কথা বলতে দেখিনি, কাউকে সমালোচনা করতে দেখিনি,কাউকে উপর থেকে নীচে ঠ্যাং ধরে নামানোর চেস্টা করতে দেখিনি। উন্নয়ন কি এমনি এমনিই হয়েছে?পথে অচেনা কারো সাথে দেখা হলেই মুচকি হেসে দিয়ে বলবে,হ্যালো হাউ আর ইউ? যেন কত দিনের চেনা।মিলাতে গেলে হতাশ হয়ে মাঝপথে থেমে যাই।আবার সাহেদদের দেখতে দেখতেও চোখ কানা হয়ে যাচ্ছে।আহারে! কেউ কি বুঝলো না? আর কত সর্বনাশ হবে কে জানে?আবেগে যা বলার বলে ফেলেছি। মায়া লাগেতো! কি করবো?আমিতো এগুলো সহ্য করতে পারি না।

ধুর! কি বলতে কি বলা আরম্ভ করলাম।যাইহোক সারারাত বাসে চলার পর সকালে এসে বালি'ন শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নামলাম। পশ্চিমা দেশগুলোতে  তখন ছিলো গ্রীষ্মকাল।তাও তাপমাত্রা ছিলো ৪ ডিগ্রী সেঃ এর নীচে।তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রীর নীচে নেমে এলে  তুলার মত তুষার পাত হয়।এগুলো উপভোগ করেছি।আর শীতকালে সবসময় রাস্তাঘাট বরফে ঢাকা থাকে।তখন কয়েক মাসের খাবার নিয়ে ওরা ঘরের মধ্যে কাটায়। আমি যখন গিয়েছি তখন প্রায়ই  গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতো, আর আকাশ মেঘে ঢাকা থাকতো। কিন্তু যেদিন বার্লিন গেলাম সেদিন ঝলমলে রোদ উঠেছিল, আকাশ ছিলো পরিস্কার। বেশ সুন্দর সকাল পেলাম বালি'ন গিয়েই।

আগেই জেনেছি, বাসস্ট্যান্ডে রিসিভ করতে আসবে ফরিদপুরের এক ভদ্রলোক। ফোন নং দিয়ে দেয়া হয়েছিলো আমাকে।বাসস্ট্যান্ডে নেমে তার সাথে  ফোনে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলাম না।সে আবার আরেক বিপদ! কি করি? কিছুটা টেনশনও ছিল আমার ।আমি যে মানুষ!  একেবারেই পুতুপুতু। আসলে সবাই এটা মনে করে।কিন্তু আসলে কি তাই?? বিদেশে অনেক স্ট্রাগল করার অভিজ্ঞতা আমার আছে।যদি ফরিদপুরের মানুষটাকে না পাই কি করব? সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। অনেকটা এডভেঞ্চার আমার ভালো লাগে,যেমনটি ভাবে কিছুদিন আগে আমেরিকার একটা গভীর রাতের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছিলাম।আমার কাছে পাসপোর্ট ছিলো, ডলার ছিলো, বুদ্ধিও যাই আছে করে খাচ্ছি। সমস্যা কোথায়? একটা মজার ব্যাপার হলো স্ক্যান্ডিনেভীয়ান কান্ট্রিগুলো  তে এক পাসপোর্টই ঘুরাঘুরি করা যায় অনেকগুলো দেশে।কোন চেকিং নাই।হ্যারাসমেন্ট নাই।শুধু পাসপোর্ট থাকলে আর পকেটে ডলার থাকলেই হলো। এই অবস্থায় বারবার পকেটের ডলার আর পাসপোর্ট চেক করছিলাম। পাসপোর্ট হারালে তো সব শেষ!

এরই মধ্যে একটা ফোন পেলাম। সরি,আমি ট্রেন ফেল করেছিলাম, আসতে দেড়ী হয়েছে। আমি বাসস্ট্যান্ডে চলে এসেছি।আমি লোকেশন দিলে লোকটা চলে আসে আমার কাছে,পেয়ে যাই তাকে।শতশত সাদা চামড়ার মানুষের মধ্যে কালো চামড়ার একটা মানুষ, তারপরেও ফরিদপুরে বাড়ি। আমার বাড়ির এলাকা।যাক, হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।ফরিদপুরে বাসা কোথায়?  বলতেই বলে ফেললেন, আমার আব্বা রাজেন্দ্র কলেজের ম্যাথের টিচার ছিলেন।কোন কিছু বলার আগেই সরাসরি বলে ফেললাম তুমি সাদত স্যারের ছেলে?  তোমার নাম রনি?হা,কি করে জানলেন??  আমি ওকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম।রনি,আমি সাদত স্যারের কাছে ম্যাথ শিখতাম। টেপাখোলা রেললাইনের ধারে তোমাদের বাসায় গিয়ে ম্যাথ করতাম স্যারের কাছে।স্যার আমাকে খুব ভালো বাসতেন। তুমি তখন খুব ছোট ছিলে,ভালো করে কথা বলতেও পারতে না।আমরা পড়ার সময় পায়ের কাছে ঘুরঘুর করতে।আমি অনেক চকলেট খাইয়েছি তোমাকে। আমি কিছু সময়ের জন্য হলেও সাদত স্যারকে ফিরে পেয়েছিলাম রনির মধ্যে, আমার প্রিয় সাদত স্যার।স্যার আমাদের মাঝে নাই।শেষে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্যারকে আল্লাহ জান্নাত দান করুন। সেদিন রনিও আমাকে পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়েছিলো। ওর আব্বুর ছাত্র আমি। আমার  আব্বাও একজন শিক্ষক ছিলেন। সারা দুনিয়া জুড়ে আব্বার ছাত্রছাত্রীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।আমার আব্বা দুনিয়াতে নাই। কিন্তু  তা্ঁর ছাত্রছাত্রীদের দেখলে আমিও আমার আব্বার মুখটাকে দেখতে পাই,আমার আব্বার ছাত্রছাত্রী বলে কথা।আব্বাকেও পরম শ্রদ্ধার সাথে সবাই মনে রেখেছেন, এটা কম কিসের? 

বাস স্ট্যান্ড থেকে ট্রেনে অনেক দুর গিয়ে হোটেলে উঠেছিলাম মনে আছে।সারারাত জাগা মানুষ। পেটে প্রচন্ডরকম ক্ষুধা। হোটেলে গিয়ে গোসল করে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করার জন্য বেরিয়ে পরলাম রনিকে নিয়ে।

আমি যে হোটেলে ছিলাম তার পাশেই অনেক গুলো তুকী' রেস্টুরেন্ট, একেবারেই হালাল খাবার সেখানে ,আগেই বলেছিল রনি।ও বালি'ন শহরের অনেক কিছুই জানে,চেনে।একটা স্কলারশিপ নিয়ে বার্লিনে এমএস, পিএইচডি করতে এসেছিলো  রনি।যে কয়দিন বার্লিনে ছিলাম রনি সবকিছু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছে। 

আমি রনিকে বললাম একটু বাংলাদেশের স্বাদে নাস্তা করার দরকার। অনেক গুলো তুকী' হোটেল। পেয়ে গেলাম পরাটা,সব্জি আর রসগোল্লা। মানে রসগোল্লার মতই।অন্য নাম, স্বাদ রসগোল্লার।রাতজাগা মানুষ, পেটে ক্ষুধা,তৃপ্তি সহকারে খেলাম।আমি যতবারই দেশের বাইরে গেছি,নিজে রেঁধে খেয়েছি। একেবারে বিদেশে দেশী খাবার। যেমন বৃষ্টি হলে খিচুড়ি, মাংস,ডিম,ইলিশমাছ (সিল্ড ফিস, একেবারেই ইলিশ মাছের স্বাদ)।গম ক্ষেতের ভিতর থেকে বথুয়া শাক কুড়িয়ে এনে ভাজি করে খেয়েছি। সাথে শুকনো মরিচ ভাজি।বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের মসলা,খাঁটি সরিষার তেল,কাঁচা মরিচ নিয়ে যেতাম।অবশ্য চীনে কয়েকবার গিয়েছি,তখন কিছু সাথে নেইনি।চুংচাং যা পাইছি ভুংভাং করে খাইছি। সবশেষে কোল্ড ড্রিংকস খেয়েছি। সব ঠিক হয়ে গেছে হা হা।

তুরস্কের অনেক মানুষ রিফুজি হিসাবে জার্মানিতে আছে।বার্লিন শহরে এভাবেই ওরা ব্যবসা বানিজ্য করে খায়।তাদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা অন্যতম। আমার" গল্পে গল্পে স্মৃতি কথা " বইটিতে সব বলা আছে মজার মজার সব ঘটনা। 

বার্লিন শহরে তুকী' একটা রেস্টুরেন্টে খেতাম। এই রেস্টুরেন্টের মালিক অত্যন্ত ভাল ইংরেজি জানতেন,ইংরেজিতে কথা হতো। বেশ সখ্যতা হয় আমার সাথে।এখানে বলে রাখি ডেনমার্ক, জামা'ন, সুইডেন, নরওয়ের মানুষজন ভালো ইংরেজি জানে না প্রায় ক্ষেত্রেই।ডেনমাকে'র মানুষ ইংরেজি এবং ডেনিস  মিশ্রন করে একটা ভাষায় কথা বলে। যেমন  Many Thanks কে বলবে Mange Tak ইত্যাদি ইত্যাদি।  

রেস্টুরেন্টের মালিকের ৭/৮ বছরের একটা মেয়ে ছিলো। ওর বাবাকে রেস্টুরেন্টে মাঝে মাঝে সাহায্য করতো। নাম নাফিজা। আমি প্রায়ই ওই রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার সুবাদে নাফিজার সাথে আমার কথা হত।যেমন, কোন ক্লাসে পড়,কি খাও? বাংলাদেশের নাম শুনেছ? কয় ভাইবোন? ইত্যাদি ইত্যাদি। মেয়েটা খুব ভক্ত হয়ে গেল আমার।পৃথিবীর সব শিশু কিশোররাই বুঝি এরকম হয়।ওরা একটু ভালো কথা শুনতে চায়।আমি একটা শিশু সংগঠনের জাতীয় ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছি সবার সাথে।এমনটিই তো মনে হয়েছে আমার কাছে। নাফিজা অনেক শ্রদ্ধা করতো আমাকে।ও ছিলো আমার মেয়ের মত।  যে কয়দিন খেতে গেছি অনেক যত্ন করে খাওয়াতো আমাকে। অনেক চমৎকার করে শুদ্ধভাবে ইংরেজি বলতে পারতো নাফিজা।সব ভালো জিনিসটা আমাকে খাওয়াতো, দাম নিতো না। অনেকটা  মায়ায় আবদ্ধ করেছিলো আমাকে  নাফিজা।আমার সাথে ছবি তুলতে চেয়েছে। অনেক গল্প করেছে আমার সাথে।আহারে! এই মেয়েগুলো সারভাইব করার জন্য তুরস্ক থেকে বালি'নে এসে কিই না যুদ্ধ করছে।

একবার নাফিজার বাবাকে বললাম,তুমি যদি আমাকে অনুমতি দাও তাহলে আমার মত করে একটু বিফ রান্না করবো। অব কোস' বলেই, আমাকে কিচেনে নিয়ে গেল।আমি সব মসলা দিয়ে বাংলা কায়দায় বিফ রান্না করলাম।মাঝে মধ্যে হাতমাখা মসুরের ডাল,আলুভর্তা, ডিম মামলেট করেও খেয়েছি। নাফিজা বসে বসে আমার রান্না করা দেখেছে।বালি'ন শহরে বসে বাংগালী খাওয়া, অন্যরকম অনুভূতি! নাফিজা আর ওর বাবাও খেয়েছে আমার রান্না করা খাবার। বলেছে ইয়েস, বেংগল ফুড ইজ ভেরি ডেলিশিয়াস।

৪/৫ দিন ছিলাম বার্লিন শহরে।বার্লিন প্রাচীর, চ্যাঞ্চেলরের অফিস, পার্লামেন্ট ভবন,বার্লিন গেট,হিটলারের গ্যাস চেম্বার সহ অনেক কিছুই দেখিয়েছে রনি।

যেদিন কোপেনহেগেনে আবার ফিরে আসবো, বিদায় নিতে গেলাম নাফিজাদের কাছে। আমি কিন্তু মেয়েটাকে কাঁদতে দেখেছি সেদিন।  আমিও কি পেরেছি?আর জানতে পারিনি আমার এই মেয়েটি কোথায়! কেমন আছে।কারণ তখনতো আর ফেসবুক ছিলো না।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে