Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মহামারীতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে গর্ভবতীদের


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২০, ০৮:৩৬ পিএম
মহামারীতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে গর্ভবতীদের

ফাইল ছবি

গর্ভবতী মা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, সংক্রমণের ভয়ে চিকিত্সকদের রোগী দেখতে অনীহা, চিকিত্সকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ থাকা, টিকা না দেওয়া, অপর্যাপ্ত প্রসব সেবা, যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা, এমন নানা কারণে বেড়েছে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের মৃত্যুঝুঁকি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত নারীর দুই শতাংশই গর্ভবতী। এ কারণে এই সময়ে গর্ভধারণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা।

বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ এ সময়ে গর্ভধারণ না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত চেকআপ করতে না পারাটা যেমন বিপজ্জনক, তেমনি গর্ভবতী মা করোনায় আক্রান্ত হলে বিপদ আরো বেশি। করোনায় আক্রান্ত মায়ের সন্তান জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। আবার মৃত সন্তানও প্রসব করতে পারে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত নারীর দুই শতাংশই গর্ভবতী।

এদিকে ইউনিসেফ বলছে—করোনার জন্য মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে মায়েদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সন্তান জন্মদানের হার ঐ একই সময়ে কমেছে ২১ দশমিক দুই শতাংশ।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরিফ বলেন, গর্ভবতী মা যেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। হাইকোর্টের নির্দেশ আছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সকল হাসপাতাল গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য। তাই করোনা আক্রান্ত বলে গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।

আগামীনিউজ/জেএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে