Dr. Neem on Daraz
independent day of bangladesh

দ্বিতীয়বার সফল হয় মিতুর হত্যাকারী


আগামী নিউজ | ‍নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২১, ০১:৩১ পিএম
দ্বিতীয়বার সফল হয় মিতুর হত্যাকারী

ঢাকাঃ খুনের মাসখানেক আগেও একবার হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল মিতুকে। স্বামী বাবুল আক্তার প্রশিক্ষণ নিতে চীনে ছিলেন তখন। খুনের ঐ পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখেনি।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার বাবুলকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে একরকম নিরুত্তরই ছিলেন বাবুল আক্তার। পরে কিছু কথা বলেছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত বোধ করছেন। কথা বলার সময় বেশ কয়েকবার কেঁদেছেন বাবুল।

তবে, মিতু হত্যার কারণ সম্পর্কিত সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিনি শুধু বলছেন ‘সবই তো জানেন, আমি কী বলব।’

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন মাহমুদা খানম। সেদিন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে উঠিয়ে দিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ের কাছে তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তখন তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার ছিলেন ঢাকায়। খুনের ঘটনার কয়েক দিন আগে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান তিনি। এর আগে বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ছিলেন। খুনের ঘটনার পর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছিলেন তিনি।

এজাহারে উল্লেখ করেছিলেন জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে খুন করতে পারেন। কিন্তু কিছুদিন পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ওই বছরের ২৪ জুন রাতে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাঁকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চাকরি থেকে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়।

গত বছরের জুন মাসে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই কর্মকর্তারা আসামি ওয়াসিমকে গত ডিসেম্বরে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পিবিআই জানায়, মাহমুদা হত্যায় অংশ নেওয়া ওয়াসিম ও আনোয়ারকে মুছার আত্মীয় কাজী আল মামুন ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এই সূত্র ধরে পিবিআই মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, সাইফুল হক নামে বাবুল আক্তারের এক ব্যবসায়িক অংশীদার বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা কয়েক ধাপে পাঠান।

সাইফুল বলেন, বাবুল তাঁকে ৩ লাখ টাকা মামুনকে দিতে বলেন। কথামতো বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেন। পরে জানতে পারেন এই টাকা মাহমুদার হত্যাকারীদের দেওয়া হয়েছে। মামুনও জবানবন্দিতে বিষয়টি স্বীকার করেন।

তবে বাবুল জড়িত নন বলে আদালতে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী আরিফুর রহমান। তার দাবী, পাঁচ বছর পর বাবুলকে জড়িত বলা রহস্যজনক। ন্যায়বিচারের জন্য তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।