ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা : মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নতুন শনাক্ত এ করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে শনাক্ত এ প্রজাতি ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানা গেছে।
রূপান্তরিত এই প্রজাতিটি ‘ডি৬১৪জি’ নামে পরিচিত। মালয়েশিয়ায় একটি জনসমাবেশে সংক্রমিত ৪৫ জনের মধ্যে অন্তত তিনজনের শরীরে রূপান্তরিত ভাইরাসটি দেখা গেছে। এর আগে বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও করোনা ভাইরাসের এই রূপান্তর দেখা গেছে।
ভারত ফেরত এক রেস্টুরেন্ট মালিকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় এই সংক্রমণ শুরু হয়। ওই ব্যক্তি বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মানেননি। পরে তাকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়।
ফিলিপাইন থেকে ফেরা কিছু মানুষের শরীরেও ভাইরাসের এই প্রজাতিটি শনাক্ত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক নুর হিশাম আব্দুল্লাহ বলেছেন, নতুন প্রজাতিটি পাওয়ার ফলে ভ্যাকসিন নিয়ে এতোদিন যে গবেষণা হয়েছে, সেটি চরিত্র বদল হওয়া নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অসম্পূর্ণ অথবা অকার্যকর হতে পারে।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নুর হিশাম বলেছেন, মালয়েশিয়া এখন এই প্রজাতিটি শনাক্ত হওয়ায় মানুষকে আরও বেশি সতর্ক এবং অত্যধিক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, রূপান্তরিত ভাইরাসটি আরও জটিল রোগ সৃষ্টি করছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তবে সেল প্রেসে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে তার ওপর ভাইরাসের এই রূপান্তর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারবে না।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় গুটিকয়েক সক্ষম দেশের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়াও। যদিও বর্তমানে দেশটিতে নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
শনিবার দেশটিতে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা গত ২৮ জুলাইয়ের পর একদিনে সর্বোচ্চ। রোববারও দেশটিতে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যানে, মালয়েশিয়ায় এ সময় পর্যন্ত করেনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১২ জন এবং মারা গেছেন ১২৬ জন। সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
আগামীনিউজ/এসপি