ইমরান খান। ফাইল ছবি
ঢাকাঃ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিসহ দলটির অন্তত ৮০ জন নেতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিশেষ সহকারী আতাউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আতাউল্লাহ বলেন, ইমরান খান ও বুশরা ছাড়া পিটিআই নেতাদের মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন আসাদ উমার, মালিকা বোখারি, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, মুরাদ সাঈদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমিন রশিদ ও আসলাম ইকবাল।
আতাউল্লাহ বলেন, পিটিআই নেতাদের তালিকা দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার সব পয়েন্ট ও বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরা কোনোভাবেই পাকিস্তান ত্যাগের অনুমতি পাবেন না।
এর আগে বুধবার (২৪ মে) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছিলেন, ইমরানের দল পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে সরকার।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারির পর ইমরান খান এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, বিদেশে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তার নেই৷ উল্টো এমন নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি৷
এ ব্যাপারে শুক্রবার (২৬ মে) এক টুইটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আমার নাম রাখার জন্য ধন্যবাদ। বিদেশে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাই আমার নেই। কারণ বিদেশে আমার ব্যবসাও নেই, সম্পত্তিও নেই৷ এমনকি দেশের বাইরে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই৷'
তিনি আরও বলেছেন, 'যদি অবকাশ যাপনের সুযোগ পাই, তাহলে সেই স্থানটি হবে আমাদের দেশের দক্ষিণের পাহাড়গুলো৷ বিশ্বে এটিই আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।'
গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে হওয়া আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তার অভিযোগ, তাকে অপসারণের নেপথ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী। আগাম নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশও করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা করা হয়েছে।
এদিকে কথিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে ইসলামাবাদ আদালতের ভেতর থেকে ইমরান খানকে আটক করেছিল পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স৷ এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইমরানের সমর্থকরা পুরো দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন৷ ওইদিন সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর এবং লাহোরে এক কর্পস কমান্ডারের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে৷
এসব আন্দোলন ও হামলার দোহাই দিয়ে এখন ইমরানের দল পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার৷ এছাড়া অনেককে নিরবে দলত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে৷ এখন দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তার দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আরও চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চলছে।
বুইউ