ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা : চীনের জারি করা নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ে বৃহস্পতিবার ৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তাদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। তারা সকলেই জুন মাস পর্যন্ত হংকংয়ের স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলন করেছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া ৪ শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
হংকংয়ে ১ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় এটি প্রথম গ্রেপ্তারের ঘটনা।
এদিকে হংকংয়ের একটি গণতন্ত্রকামী দল দাবি করেছে যে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে টনি চুং নামের তাদের এক সাবেক নেতা রয়েছে।
চীন কর্তৃক আরোপিত নতুন আইনটিতে হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
অপরাধীকে প্রত্যর্পন আইন বাতিল ও স্বাধীনতার পক্ষে ২০১৯ সাল জুড়েই হংকংয়ে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। ২০২০ সালের গোড়ায় সেই আন্দোলন আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, চীন পুলিশ এবং প্যারামিলিটারি দিয়েও তা দমন করতে পারেনি। এরপরেই গত জুন মাসে নতুন আইনের কথা জানায় বেজিং। নতুন নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী এ ধরনের আন্দোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ফলে আন্দোলনরত প্রতিটি দলই সাময়িক ভাবে কার্যকলাপ স্থগিত রাখে।
এরপর আন্দোলনকারীরা দেশের বাইরে গিয়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু চীনের বক্তব্য, বিদেশে বসে যদি কোনও হংকংয়ের নাগরিক আন্দোলন চালানোর চেষ্টা করেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নিয়মও নতুন আইনে আছে। ফলে কোনও ভাবেই আন্দোলন নতুন করে শুরু করা যাবে না।
চীনের এই নতুন আইন নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজনীতিবিদ থেকে কূটনীতিবিদ অনেকেরই বক্তব্য, এই আইন মানবতা বিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং মত প্রকাশের অধিকারের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের এই জুলাই মাসেই ব্রিটিশদের থেকে মুক্ত হয়ে চীনের অধীনে আসে হংকং। সূত্র : বিবিসি
আগামীনিউজ/এসপি