ছবি: সংগৃহীত
পরিচিতিঃ (Botanical Name: Feronia limonia(Linn.) Sw., Common Name: Kadbel, English Name: Elephant Apple, Monkey Fruit, Family: Rutaceae)
কদবেল গাছ ১২-১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। বেশ শক্ত ধরনের পত্রঝরা বৃক্ষ। পাতা দেখেতে অনেকটা কামিনী ফুলের পাতার মত। পত্রদন্ডের দুদিক ৫/৭ টি করে পাতা থাকে। গাছে ছোট, সোজা ও শক্ত কাঁটা থাকে। ফিকে লাল বা সাদা ফুলের ব্যাস প্রায় ১.২৭ সে.মি.। প্রতি ফুলের ৫/৬ টি লোমযুক্ত পাপড়ি থাকে। ফল ছোট বেলের মত। ক্রিকেট বলের চেয়ে বড়, ব্যাস ৬.২৫ সে.মি., উপরিভাগ সাদা, ফল পাকলে কালচে বর্ণের হয়।
প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকায় দেখা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্র বিক্ষিপ্তভাবে এর বিস্তৃতি রয়েছে।
চাষাবাদঃ মে-জুন মাসে বীজতলায় বীজ বপন করতে হয়। ৭-১৫ দিনের মধ্যে বীজ থেকে চারা গজায় এবং অঙ্গজ বংশবিস্তার অর্থাৎ গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এর বংবিস্তার করা যায়। অঙ্গকুরোদ্গমের হার শতকরা ৬০ ভাগ।
লাগানোর দূরত্বঃ ২০ থেকে ৩০ ফুট।
উপযোগী মাটিঃ বেলে বা দো- আঁশ মাটিতে কদবেলের গাছ ভাল জন্মে।
বীজ আহরণঃ পাকা ফল খাওয়ার পর অথবা ভেঙ্গে পানিতে ধুয়ে বীজ সংগ্রহ করা হয়। শুকিয়ে ছয় মাস পর্যন্ত বীজ সংরক্ষণ করা যায়।
প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার।
বীজ সংগ্রহের সময়ঃ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এর বীজ সংগ্রহ করা হয়।
প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষ্ণণঃ পাকা ফল খাওয়ার পর অথবা ভেঙ্গে পানিতে ধুয়ে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। শুকিয়ে বীজ ছয় মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়।
ব্যবহার্য অংশঃ কদবেলের ফল, পাতা, ছাল এ শাঁস ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ ফলের বীজ হৃদরোগে কার্যকরী। রক্ত আমাশয়ে কদবেলের আঠা মধুসহ খেলে বিশেষ উপকার হয়। পাকা ফল দাঁতের মাড়ি ও গলার ঘায়ে ব্যবহৃত হয়। পাতা- পেট ফাঁপা, অজীর্ণ ও পেটের অন্য কোন দোষ হলে ব্যবহৃত হয়। ফলের শাঁস- কাশি, হাঁপানি ও যক্ষা রোগে উপকারি এবং কদবেল উদ্দীপক, মুত্রবর্ধক, বলকারক ও যৌনশক্তি বর্ধক গুণ রয়েছে।
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ
পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণতঃ ৪-৫ বছরে কদবেল গাছ পরিপক্ক হয়, তবে পূর্নাঙ্গ পরিপক্ক হতে ১০ বছর সময় প্রয়োজন।
অন্যান্য ব্যবহারঃ ফল মধুর অম্লরস যুক্ত। কাঠ শক্ত। চেরাই করা যায়। কৃষি যন্ত্রপাতি ও ঘরবাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করা যায়।
আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বছরে ১,০০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।