Dr. Neem on Daraz
Victory Day

জবা


আগামী নিউজ | ডঃ নিম হাকিম প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম
জবা

ছবিঃ সংগৃহীত

পরিচিতিঃ  (Botanical Name: Hibiscus rosa-sinensis Linn., Common Name: Joba, English Name: China rose, Family: Malvaceae)

এটি একটি ক্ষুপ বা গুল্ম, বড় জোড় ৪ মিটার উঁচু হতে দেখা যায়। গাছ বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট। কান্ড খসখসে, পাতা মসৃণ ও চকচকে। ফুল ১০-১৫ সেমি চওড়া। ফুলের মধ্যে বর্ণ বৈচিত্র প্রচুর। এর সাদা, পাটল, লাল, গোলাপী, হলুদ ফুলের জাত রয়েছে। ফুল একক অথবা যুগ্ম হতে পারে। পাতাও দেখতে সুন্দর। পাতার দুই ধার করাতের মতো দাঁত কাটা। জবা গাছ কষ্টসহিষ্ণু অল্প যত্নে জন্মে।

প্রাপ্তিস্থানঃ আদি নিবাস চীন দেশ। উপমহাদেশসহ বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।

চাষাবাদঃ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ হয় না।

লাগানোর দুরত্বঃ ৩ থেকে ৪ ফুট।

উপযোগী মাটিঃ সব ধরনের মাটিতে এটি জন্মে থাকে।

প্রক্রিয়াজাতকরন/সংরক্ষণঃ কাঁচা অবস্থায় জবা ফুল ব্যবহৃত হয়।

ব্যবহার্য অংশঃ ফুল

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ জবা ফুল স্নিগ্ধ, শীতল ও পিচ্ছিল। ফুলের পাপড়ি ক্কাথ স্নিগ্ধ বলে জ্বর, কাশ ও বস্তিপ্রদাহে ব্যবহৃত হয়। জবা ফুলের পাপড়ির রস বা সিরাপ মুত্র কৃচ্ছ ও মুত্রযন্ত্রের প্রদাহ নাশক এবং ঋতুস্রাব ও ঋতু দূর্বলতা নাশক। এছাড়াও পদ্মকন্দ ও শিমূল মূলের সঙ্গে জবাফুল সেবনে বেশি ফল পাওয়া যায়।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • টাকপড়া রোগে জবা ফুল বেটে লাগিয়ে দিলে পুনরায় ওখানে চুল বেরুবে।
  • চোখ ওঠলে জবা ফুল বেটে চোখের উপর ও নীচের পাতায় গোল করে লাগিয়ে দিলে চোখ ওঠা সেরে যায়।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণতঃ ১ থেকে ২ বৎসরেই জবা গাছে ফুল ফোটে।

অন্যান্য ব্যবহারঃ সৌন্দর্য বর্ধক গাছ হিসেবেও জবা গাছ লাগানো হয়ে থাকে। এছাড়াও হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজায় জবা ফুল ব্যবহৃত হয়।

আয়ঃ প্রতি একর জমি থেকে বার্ষিক ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

আগামীনিউজ/নাসির 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে