Dr. Neem on Daraz
independent day of bangladesh

বিশ্ব ঘুম দিবস আজ


আগামী নিউজ | আগামী নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ০১:৩৯ পিএম
বিশ্ব ঘুম দিবস আজ

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ চোখে শান্তির ঘুম নামুক এটাই কাঙ্খিত সবার। আড্ডা, ভুরিভোজ-এর আগে যদি বাঙালিকে কিছু বেছে নিতে বলা হয়, নিঃসন্দেহে তা হবে ঘুম। শুধু বাঙালি নয় গোটা মনুষ্যজাতির সংস্কৃতিতেই একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে ঘুম। মার্চের তৃতীয় শুক্রবার সারা বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হয় ঘুম দিবস। ২০০৮ সাল এই দিন উদযাপিত হয়ে আসছে সারা দুনিয়ায়। ঘুমের উপকারিতা, উপযোগিতা নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতেই আলাদা করে একটা দিন পালন করা হয়।

ভাত ঘুম, রাত ঘুম, ঘন ঘুম, আলগা ঘুম, সময়ে এবং অসময়ের ঘুম কতই না তার রকম ফের। ছোট গল্পের ন্যায় ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ ঘুম তো আছেই। সাসপেন্স থ্রিলারের মতো টানটান ঘুমও রয়েছে। সব ঘুমের আলাদা আমেজ ।

আধুনিক গবেষণা বলছে বিশ্ব জুড়েই পর্যাপ্ত ঘুমের সংকটে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করছে। হৃদরোগ জনিত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা, অবসাদ, মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলছে সমাজে। চিকিৎসক এবং গবেষকরা এর পেছনে অনেকাংশেই দায়ী করছেন ঘুমের অভাবকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্তত ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এছাড়া ২২ মিলিয়ন আমেরিকান নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। গবেষণায় আরও দেখা যায়, ছুটির দিনে দুই ঘণ্টা বেশি ঘুমালে দেহঘড়ি (বডি ক্লক) ৪৫ মিনিট বিলম্বিত করে। এর ফলে ছুটির দিনগত রাতে ঘুম কম হয়, এতে পরের দিনের কাজে পরিশ্রান্ত মনে হয়, শরীর ও মন কাজের উপযোগী থাকে না। এ কারণে সপ্তাহের প্রতি রাতেই আট ঘণ্টা করে ঘুমানোর পরামর্শ দেন গবেষকরা। ছুটির দিন শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়ার জন্য ছয় থেকে আট মিনিট রোদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। কারণ সূর্যের আলো দেহঘড়ি ঠিক রাখে।

কম মাত্রার ভিটামিন ‘ডি’ এর কারণে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার ও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। অস্টিওপোরোসিস হচ্ছে এমন একটি রোগ, যার ফলে মানুষের হাড়ের ওজন ও ঘনত্ব কমে যায়। হাড়ের আকার বাড়ে কিন্তু এর মধ্যে বহু ছিদ্র সৃষ্টি হয়। এর ভঙ্গুরতাও বাড়ে।
গবেষণায় ঘুমের নানা ইতিবাচক দিকের কথা বলা হয়েছে। নিয়মিত ভালো ঘুম হলে পরবর্তী জীবনে দারুণ প্রভাব পড়তে পারে। টেক্সাসের বেয়লর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিশন ল্যাবরেটরি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখানো হয়, মধ্যবয়সে ভালো ঘুম ভবিষ্যতের মানসিক প্রশান্তির জন্য দারুণ এক পুঁজি হিসেবে কাজ করে। মধ্যবয়স বলতে ত্রিশোর্ধ্ব সময়কে বোঝানো হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেন, ভালো ঘুমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির বেশ নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, মানসিক দুর্বলতাও তৈরি হয়। তাই শেষ বয়সে অনেকেরই অনিদ্রা সমস্যা দেখা দেয়। মধ্যবয়সে একজন মানুষ নিয়ম মেনে ঘুমালে তার সুফল বৃদ্ধ বয়সেও পেতে পারেন।

বুইউ