Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সৌদি থেকে ফিরলেন ১০৯ বাংলাদেশি


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২০, ১১:২২ এএম
সৌদি থেকে ফিরলেন ১০৯ বাংলাদেশি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে আরো ১০৯ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৪ বিমানযোগে তারা দেশে ফেরেন। এ নিয়ে এ বছরের ১৬ দিনে ১ হাজার ৬১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

বরাবরের মতো ফেরত আসাদের মাঝে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

ফিরে আসা সিলেটের তালেব (৩০) মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। রাতেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় তালেবকে। পাঁচ বছর আগে শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরব যান তালেব। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারান।

মাত্র দুই মাস আগে নোয়াখালীর আজিম হোসেন গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। পাসপোর্টে তিন মাসের ভিসা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, বাজার করার জন্য মার্কেটে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে। গ্রেফতারের সময় পুলিশের সঙ্গে নিয়োগকর্তার (কফিল) কথা হওয়ার পরও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের রুহুল আমিন, কুমিল্লার ফিরোজ হোসেন ও মানিক, শরীয়তপুরের মিলন, যশোরের মোসলেম উদ্দিন, বগুড়ার মেহেদি হাসান, গাজীপুরের রাজিবসহ ১০৯ বাংলাদেশি বেশিরভাগেরই এমন অবস্থা। 

দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, আকামা তৈরির জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকা প্রদান করলেও কফিল আকামা তৈরি করে দেয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও গ্রেফতার কর্মীর দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০১৯ সালে ২৫ হাজার ৭৮৯ বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন বছরের শুরুর ১৬ দিনে ১ হাজার ৬১০ জন বাংলাদেশি ফিরলেন দেশটি থেকে। ফেরত আসাদের বর্ণনা প্রায় একইরকম। প্রায় সবাই খালি হাতে ফিরেছেন। কয়েক মাস আগে গিয়েছিলেন এমন লোকও আছেন। তারা সবাই ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায়।

শরিফুল হাসান গত বছর পুরো পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার ৭৮৯, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৬ হাজার ১১৭, ওমান থেকে ৭ হাজার ৩৬৬, মালদ্বীপ থেকে ২ হাজার ৫২৫, কাতার থেকে ২ হাজার ১২, বাহরাইন থেকে ১ হাজার ৪৪৮ ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন শূন্যহাতে ফিরেছেন যাদের পরিচয় ডিপোর্টি। 

এই মানুষগুলোর পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত। ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকতে চাই। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্যহাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষ করে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

আগামীনিউজ/শাই/ হাসি/এনএনআর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে