Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মুশতাকের বহিষ্কার গণমাধ্যমে জেনেছি, বোর্ডের কাগজ পায়নি: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৩, ১০:০৯ পিএম
মুশতাকের বহিষ্কার গণমাধ্যমে জেনেছি, বোর্ডের কাগজ পায়নি: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বহিষ্কারের তথ্য গণমাধ্যমে জেনেছেন উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের কোন রিটেন ডকুমেন্ট আসেনি বা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পায়নি। 

সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি এ তথ্য জানান। 

তিনি আরও বলেন, আমরা কোর্টের যে রায় তা বোর্ডে জমা দিয়েছি এবং বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। এই রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা কি করতে পারি এবং কি কি করতে পারি না। বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই পালন করা হবে। শিক্ষানীতিতে আমাদের সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার নেই বলেও তিনি জানান।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, “গভনিং বডির কোন সদস্য পদত্যগ করলে, নিয়ম অনুযায়ী সেটা যাবে বোর্ড অফিসে। তাকে রিসিভ করা বা তাকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। কারণ এই ক্ষমতার অধিকারী হলো শিক্ষা বোর্ড। আমাদের কাছে যত আবেদন আসুক আমাদের কিছু করার থাকে না। এগুলো আমরা বোর্ড অফিসে পাঠিয়ে দেই সিদ্ধান্ত দেয় বোর্ড অফিস। আমরাতো বোর্ডের আন্ডারে’’।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আবেদন অভিভাবকরা দিয়েছেন সেটা অবশ্যই বোর্ডে পাঠাবো। বোর্ড অফিস থেকে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাকে বহিস্কারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা আমাদের কোন রিটেন ডকুমেন্ট বা তাদের ওয়েবসাইটে দেন নাই। তবে আমরা কোর্টের যে রায় তা বোর্ডে জমা দিছি এবং বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি এই রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা কি করতে পারি এবং কি কি করতে পারি না। বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই হবে। শিক্ষানীতিতে আমাদের সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার নেই।”

এরআগে সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বহিষ্কৃত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে 'গভর্নিং বডির নির্বাচন'-২০২৩ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির গভীর উদ্বেগ জানিয়ে অভিভাবকরা অধ্যক্ষের মাধ্যমে বহিষ্কৃত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে 'গভর্নিং বডির নির্বাচন'-২০২৩ ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে সভাপতি বরাবর আবেদন করেন। 

আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ 'গভর্নিং বডির নির্বাচন'-২০২৩ ভোটার তালিকা থেকে বহিষ্কৃত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে স্থায়ী বাদ দেওয়ার দাবি। কারণ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণকারী খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি সর্বমহলে আবারও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ সমালোচনা থেকে মুক্তি ও প্রতিষ্ঠানটিকে সুনামের দিকে ফেরাতে বহিষ্কৃত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে স্থায়ী বাদ দেওয়ার বিকল্প নেই। 

আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে,গত ১৭ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় 'বিতর্কের মুখে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার মুশতাকের গভর্নিং বডির সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। তবে গোলাম আশরাফ তালুকদারের সদস্য বাতিলের বিষয়ে এখনো কোনো প্রস্তাব আসেনি।

আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ২১শে আগস্ট সমকাল পত্রিকায় 'আইডিয়াল স্কুলের সীমানায় যেতে পারবেন না মুশতাক' শিরোনামে বলা হয়েছে,ছাত্রীর বাবার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। তবে আদালত বলেছেন, মুশতাক গভর্নিং বডির কোনো কর্মকাণ্ডে বা মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি স্কুলের সীমানায়ও যেতে পারবেন না। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম রোববার এ আদেশ দেন। 

এছাড়াও আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে,  ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের সীমানায় প্রবেশ না করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে আদালত। সেইখানে তাকে ভোটার করে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া আদালতের নির্দেশনা অমান্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল। চারদিকে শোরগোল ও আইডিয়ালের সুনাম রক্ষার্থে ভোটার তালিকা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি। 

উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে খন্দকার মুশতাক আহমেদ পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ‘ব্যক্তিগত’ উল্লেখ করেছেন মুশতাক।

এর আগে গত ১ আগস্ট কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামি হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

এমআইসি 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে