Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সুন্দরবন সুরক্ষায় ২৭ কোটি টাকার প্রকল্প : নতুন ৪ ইকোট্যুরিজম


আগামী নিউজ | সাইফুল হক মিঠু প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২০, ১১:০৩ পিএম
সুন্দরবন সুরক্ষায় ২৭ কোটি টাকার প্রকল্প : নতুন ৪ ইকোট্যুরিজম

ঢাকা: পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এই বন একদিকে যেমন সিডর, আইলার মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগে ঠেকায় তেমনি দেশের দেশের আবহাওয়া জলবায়ু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রতিবছর দেশে বিদেশের লাখো পর্যটক সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করেন। এবার সুন্দরবনের পরিবেশ বান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণ ও মান উন্নয়নের মাধ্যমে এর পরিবেশ,প্রতিবেশের উন্নয়নে একটি প্রকল্প নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

২৭ কোটি ৯৫ লাখ ব্যয়ে 'সুন্দরবনে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বন অধিদফতর। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের ৩০ জুলাই শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হতে পারে আগামী বছরের ৩০ জুন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ বনে পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়বে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এই অঞ্চলের মানুষের। কমাতে কাজ করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় সাতটি ফাইবার বডি ট্রলার, তিনটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, তিন কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, ছয়টি পাবলিক টয়লেট, সাড়ে ৮ হাজার ঘনমিটার পুকুর খনন, একটি সেডশহ প্রদর্শনী ম্যাপ, ৩০টি আরসিসি বেঞ্চ নির্মাণ করা হবে। পাঁচটি গাইড ম্যাপ, ২০টি ডাস্টবিন, ১০টি পর্যটকদের জন্য পথ নির্দেশনা তৈরি করা হবে।

সূত্র জানায়, সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষায় সাড়ে ৬ হাজার বর্গমিটারের একটি আরসিসি ফুট ট্রেইল, একটি ইন্টারপ্রিটেশন ও ইনফরমেশন সেন্টার, সাতটি স্যুভেনির শপ নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া বনের পরিবেশ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে
বন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইকো-ট্যুর অপারেটর, গাইড কো ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৬০০ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিলি করা হবে লিফলেট।

বর্তমানে সুন্দরবনে ৭ ইক্যোট্যুরিজম কেন্দ্র আছে। এগুলো হলো: করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলারচর, হিরণপয়েন্ট, কলাগাছিয়া। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আরো ৪ টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র হবে।

 ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র সম্প্রসারণের জন্য সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে আন্দারমানিক  ও শরণখোলা ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে শেখেরটেক মন্দির রয়েছে। এছাড়া সুতারখালী এলাকার কৈলাশগঞ্জ ও কলাবগী এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সুন্দরবনের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ কমিয়ে স্থানীয় কর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি।


তিনি বলেন, নতুন চারটিসহ মোট ১১টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আওতাভূক্ত। ব্যবস্থাপনা কমিটির আওতায় ৩৪ হাজার গ্রাম সংরক্ষণ দলের সদস্য রয়েছে। এতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। কমিটিকে সম্পৃক্ত করে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো হবে।

প্রধান এই বনরক্ষক আরো বলেন, পর্যটনের বিকাশ হলে স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা ছেড়ে দেবে। এখানে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার করা হবে। প্রতিবেশ পরিবেশ ঠিক রেখে ঝুলন্ত ব্রিজসহ অন্য অবকাঠামোও গড়ে তোলা হবে।


আগামী নিউজ/মিঠু/ডলি/নাঈম 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে