Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বৃষ্টি কামনায় মুসল্লিদের নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইসতিসকার নামাজ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম
বৃষ্টি কামনায় মুসল্লিদের নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইসতিসকার নামাজ

ঢাকাঃ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণ আর গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। গত কয়েক দিন এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজধানীতে। তীব্র দাবদাহের মুর্হুতে বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকা ) আদায় করা হয়েছে রাজধানীতে। খোলা আকাশের নিচে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর আফতাবনগর এল ব্লক খেলার মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

নামাজের আগে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও মোনাজাতে চলমান বৈশ্বিক সংকটের থেকে মুক্তির দোয়াও করা হয়।  

নামাজে অংশ গ্রহণকারী মুসল্লিরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বিপদের সময় আল্লাহ নামাজের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। বৃষ্টির জন্য এই নামাজ আদায় করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি।

গতকাল রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বানও জানিয়েছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টিপ্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় ইস্তিসকার সালাত আদায়ের আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে গতকাল রাজধানীর মিরপুরের ডিওএসএস মসজিদ এলাকাতেও বৃষ্টি প্রার্থনাার জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকা ) আদায় করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃষ্টি প্রার্থনায় সম্মিলিতভাবে আজান, একামত ছাড়া জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এটাকে বলা হয় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’। ইমাম সাহেব কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে দোয়া-প্রার্থনা করেন।

বস্তুত পাপমোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তেগফার করতে হয়। কেউ অন্যের হক বা মানবাধিকার নষ্ট করলে, তা ফেরত দিয়ে দোয়া করতে হয়। তবেই আল্লাহ তাআলা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন এবং বৃষ্টি দিয়ে নিসর্গ সিক্ত করেন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে