Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মরিচের ফলন ও দাম বেশি, চাষিদের মুখে হাসি


আগামী নিউজ | লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২০, ১২:৩৩ পিএম
মরিচের ফলন ও দাম বেশি, চাষিদের মুখে হাসি

সংগৃহীত ছবি

লালমনিরহাট: দেশের প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বন্যা আর ভারী বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলের মরিচ ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে মরিচের যোগান অনেকটাই কমে এসেছে। এতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় হাসি ফুটেছে উঁচু অঞ্চলের মরিচ চাষিদের মুখে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুন। তাই মুনাফা বেশি পাচ্ছেন লালমনিরহাটের চাষিরা।

জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি, ভেলাবাড়ি ও সদর উপজেলার বড়বাড়ি, মোগলহাট ও পাটগ্রাম উপজেলায় কাঁচা মরিচের চাষাবাদ কিছুটা বেশি। তবে সব থেকে বেশি চাষাবাদ হয় বড় কমলাবাড়ি গ্রামে। এ গ্রামটির মাঠের পর মাঠ কাঁচা মরিচের ক্ষেত।

স্থানীয় চাষিরা জানান, সারাবছর বিভিন্ন জাতের কাঁচা মরিচ চাষ করেন তারা। তবে বর্ষাকালে বাজারজাত করতে এসব অঞ্চলের চাষিরা উঁচু জমিতে চৈত্র মাসে জমি তৈরি করে মরিচের চারা রোপণ করেন। এরপর নিড়ানি, সেচ, সার দিয়ে পরিচর্যা করলে তিন মাসের মধ্যে ফল আসে। আবহাওয়া ভাল থাকলে এসব ক্ষেতের মরিচ ভাদ্র মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়।

বর্ষাকালে নিম্নাঞ্চলের মরিচ ক্ষেত বন্যায় ডুবে নষ্ট হওয়ায় এ সময় মরিচের বাজার দর বেড়ে যায়। তাই এই মরিচ চাষে বেশ মুনাফা পাচ্ছেন চাষিরা। 

স্থানীয় এক মরিচ চাষি জানান, এ বছর মাত্র ৬০ শতাংশ জমিতে ২৫ হাজার টাকা খরচে মরিচ চাষ করে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। প্রথম দিকে ১০ দিন পরপর ৮-৯ মণ মরিচ তুললেও এখন পাচ্ছেন ৩-৪ মণ। প্রথমে প্রতিমণ ৫-৬ শত টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে প্রতিমণ মরিচ সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরো এক-দেড় মাস তুলতে পারবেন। 

এ প্রসঙ্গে আদিতমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলীনুর রহমান  বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৪২ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারদরও ভালো থাকায় বেশ মুনাফা পাচ্ছেন চাষিরা। 

আগামীনিউজ/এমআর 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে