Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মজনুর বিরুদ্ধে রায় আজ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২০, ০৯:৪৩ এএম
মজনুর বিরুদ্ধে রায় আজ

ছবি; সংগৃহীত

ঢাকাঃ রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।

গত ১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এই মামলায় আসামি মজনু ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আসামির যাবজ্জীবন কামনা করেছি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে তারা সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাই রায়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

এদিকে, মজনুর আইনজীবী (সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত) বলছেন, মজনুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়নি। মামলায় তিনি খালাস পাবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। ১৩ কার্যদিবসে আমরা মামলার কার্যক্রম শেষ করেছি। মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আমরা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া, তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাই আমরা মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।’

তবে মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলামের দাবি, ‘মজনুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে মজনু খালাস পাবেন।’

এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ১৩ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

আলোচিত এ মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামলে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে ধর্ষণের শিকার হন ওই ঢাবি শিক্ষার্থী। ধর্ষণের একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন নির্যাতিতা।

রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান ওই ছাত্রী। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে