Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ইরফান সেলিমের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২০, ১০:৪৩ এএম
ইরফান সেলিমের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হওয়া মামলার তদন্ত ভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। গত সোমবার (২৬অক্টোম্বর) দুপুরে সোয়ারি ঘাট এলাকায় সাংসদ হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে মদ্যপান ও ওয়াকিটকি রাখায় তাকে এক বছরের সাজাও দেওয়া হয়।

গতকাল  বুধবার (২৮ অক্টোবর) মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি মডেল থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ‘মামলাটির তদন্তভার ডিবির তেজগাঁও বিভাগে হস্তান্তর করার আদেশ হয়েছে। মামলার নথিপত্র যা আমাদের কাছে আছে, তা এখনও হস্তান্তর করিনি। সেটা নিয়েই কাজ করছি।’

এদিকে ওই মামলায় ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক দিপু ধানমণ্ডি থানা হেফাজতে রয়েছেন। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ইরফান সেলিম ও জাহিদুলকে বুধবার তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

অন্যদিকে র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলাতেও ইরফান, জাহিদুলকে সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন।

ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় কারাগারে যাওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

গত রবিবার রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় সোমবার ধানমণ্ডি থানায় ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই ঘটনার সোমবার ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবী দাস লেনের হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‍্যাব। তল্লাশিতে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও ওয়াকিটকি পাওয়ায় কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে।

মদ্যপান করায় সে সময় ইরফানকে এক বছর এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর তার দেহরক্ষী জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে চকবাজার থানায় ওই দুইজনের বিরুদ্ধে চারটি মামলাও করা হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে। ইরফানের কাছ থেকে একটি অবৈধ একটি পিস্তল ও এয়ারগান উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে এবং কয়েক বোতল মদ পাওয়ায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। একইভাবে জাহিদের কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল উদ্ধারের অভিযোগে অস্ত্র আইনে এবং ৪০৬টি ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

আগামীনিউজ/জেহিন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে