Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চার্জশিট দুদকের


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২০, ০৮:২১ পিএম
কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চার্জশিট দুদকের

ঢাকা : জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। আদালত চার্জশিটটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।

রাজধানীর ৯/এ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়িটি (প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর-৬৫) ভুয়া দাতা সাজিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ১৯৫১ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে অবস্থিত এক বিঘা আয়তনের সরকারি জমিসহ বাড়ি, যা তৎকালীন কানাডার হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে মরহুম মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, ছেলে সৈয়দ মাহমুদ আলী ও মেয়ে সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে হস্তান্তরে অনুমতিসহ ১৯৭০ সালের ৩০ মে মাসে নামজারি করা হয়।

এর প্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালের ২২ মে মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে হস্তান্তরের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ১৬ আগস্ট সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ রেজিস্ট্রিকৃত ডেড অব এগ্রিমেন্ট ফর সেল নম্বর- ৩১১৫৪ দলিলে ভুয়া দাতা বেগম আলীয়া মোহাম্মদ আলী ও সাক্ষী কাজী আরিফুর রহমান সাজিয়ে ও কাগজপত্রে দেখিয়ে ওই সময়ের তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদের সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তি দখল করেন।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, তাদের অনুসন্ধানে ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য না পাওয়ায় তাকে এজাহারভুক্ত করা হয়নি। মামলার এজাহারে ঘটনার সময়কাল ধরা হয়েছে ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট থেকে ওই একই সময়ের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি আনীত অভিযোগটি অস্বীকার করেন।

এরপর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদক পরিচালক (সাবেক উপপরিচালক) জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আগামীনিউজ/এমজামান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে