Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সূর্যমুখী চাষে স্বপ্ন দেখছেন গোপালগঞ্জের কৃষকরা


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম
সূর্যমুখী চাষে স্বপ্ন দেখছেন গোপালগঞ্জের কৃষকরা

গোপালগঞ্জঃ সূর্যমুখী ফুলের ভালো ফলন হওয়ায় আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন গোপালগঞ্জের কৃষকরা। জেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। ভোজ্য তেলের সংকটকালে এই তেলজাতীয় উদ্ভিদ সূর্যমুখীর ভালো ফলন দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহসহ সূর্যমুখী চাষে সহায়তায় বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।পাশাপাশি মনোমুগ্ধকর এ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন প্রকৃতি প্রেমিরা। ফুলের সৌন্দর্যের সাথে নিজেদেরকে ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন।

সূর্যের দিকে তাকিয়ে ক্রমাগতভাবে হেঁসে চলেছে সূর্যমুখী ফুল। আর তাই হয়তো এ ফুলের নাম দেয়া হয়েছে সূর্যমুখী। তেল জাতীয় এ ফসলের চাষাবাদ এ অঞ্চলে তেমন একটা শুরু না হলেও এবছর ৭৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা।
সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রংয়ে ঝলমল করছে ক্ষেত। সকালে পূর্ব দিকে মুখ করে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাখে সূর্যের আবর্তে তার দিক পরিবর্তন হয়। ফসলের ক্ষেতে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার।

গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক দিয়ে গেলে দেখা যাবে রাস্তার পাশের জমিতে চাষ করা হয়েছে তেল জাতীয় উদ্ভিদ এই সূর্যমুখী। এ বছর সদর উপজেলার গোবরা, ঘোনাপাড় এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা, রামচন্দ্রপুর সিংগিপাড়া, কুশলাসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ৭৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগ ১৫৮ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সরকারের কৃষি প্রনোদনার আওতায় রোপন করা হয়েছে এ সূর্যমুখী ফুল। কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকেরাও খুশি। যারা এ বছর চাষ করেননি, তারাও ভালো ফলন দেখে আগামীতে সুর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

রুপ আর সৌন্দর্য দেখতে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুঁটে আসছেন অনেক সৌন্দর্য প্রেমিক। এমন দৃশ্য দেখাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না অনেকেই। সেই সাথে ছবি ও সেলফি তোলাতো আছেই। সবুজ মাঠের এই হলুদ রঙ ছবিতে এনে দিচ্ছে এক নতুন মাত্রা। দৃষ্টি নন্দন ফুলের সাথে হেসে খেলে মুহূর্তগুলো স্মৃতির পাতায় মুঠোফোনে বন্দি করছেন প্রীয় মুহূর্তগুলো। 
জেলার কৃষকরা এ বছর ৭৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এসব জমি থেকে ১৫৮ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের সরদার।

এ বছর জেলায় ৭৯ হেক্টর জমিতে সুর্য্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে।বীজ থেকে ভোজ্যতেল, আর গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে আগামীতে জেলায় এ ফুল চাষের পরিমাণ আরো বাড়ার আশা কৃষি বিভাগের।

সৈয়দ আকবর হোসেন/বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে