Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বনজ কুমারের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০২:১৪ পিএম
বনজ কুমারের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ

বনজ কুমার মজুমদার ও বাবুল আক্তার

ঢাকাঃ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করেন। একইসঙ্গে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ওই কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদনও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘হেফাজতে নির্যাতনের যে অভিযোগ বাবুল আক্তার করেছেন তা এক বছর ৪-৫ মাস আগের। এরই মধ্যে তিনি জামিন শুনানিতেও কখনও এই অভিযোগ তোলেননি। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এই অভিযোগ তুলেছেন বাবুল আক্তার। এ কারণে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদনও নামঞ্জুর করেন। আওতাভুক্ত না হওয়ায় এ আবেদন খারিজ করা হয়।’

পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মামলার আবেদন করেন কারাগারে থাকা বাবুল আক্তার। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে তিনি মামলার আবেদন করেন।

বনজ কুমার মজুমদার ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে আসামি করা হয়েছে।

আবেদনে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের ওপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। এই কারণে মামলার আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি। সম্প্রতি তদন্ত শেষে পিবিআই এই মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন। বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে বন্দি আছেন।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে